ক্রীড়া

সর্মথকদের জন্যই হ্যাটট্রিক, বলছেন উইলিয়ামস

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ঢাকার আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে এএফসি কাপের মূলপর্বে এটিকে মোহনবাগান। মঙ্গলবার যুবভারতীতে ৩-১-এ হারায় বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে। হ্যাটট্রিক করলেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড উইলিয়ামস। নিজের এই পারফরমেন্সকে কোথায় রাখবেন!ম্যাচ শেষে উইলিয়ামসন জানালেন,”অবশ্যই ওপর দিকে থাকবে । কারণ, আমাদের সময়টা এখন ভাল যাচ্ছে। গত সপ্তাহে একটা ভাল জয় পেয়েছি। এই সপ্তাহে আমরা এএফসি কাপের মূলপর্বে উঠে পড়লাম। তবে আমাকে এই নিয়ে একটু ভাবতে হবে। সত্যিই এটাই সেরা কি না। তবে এটা ওপর দিকেই থাকবে। কারণ, এই ক্লাবে তিন বছর ধরে খেলছি আমি। সল্টলেক স্টেডিয়ামে এই রকম পারফরম্যান্স দেখাতে পারাটা আমার কাছে অবশ্যই বড় ব্যাপার। যদি এখানে না খেলে বাইরে কোথাও খেলতাম, তা হলে বোধহয় এতটা স্পেশ্যাল হত না। তা ছাড়া আমার পরিবারও এখানে নেই। দেশে ওরা নিশ্চয়ই ম্যাচটা দেখেছে। ওরা এখানে থাকলে এটা আরও স্পেশ্যাল হত। এখন আমাকে এএফসি কাপের পরের ম্যাচগুলো নিয়েও ভাবতে হবে। সে জন্য নিজেকে তৈরিও করতে হবে।হ্যাঁ, এই ধরনের ফুটবল খেলে মনে হচ্ছে যেন তাজা হাওয়া পাচ্ছি। এর চেয়ে অন্য ধরনের ফুটবল খেলেও আমরা অতীতে সাফল্য পেয়েছি। তাই এতে পরিবর্তন আনতে কিছুটা সময় তো লাগবেই। শুরুটা যে ছন্দে করেছিলাম আমরা, ৯০ মিনিট ধরে সেই ছন্দেই খেলে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি বিভিন্ন কারণে। আমাদের মুভমেন্ট ভাল হয়েছে। দক্ষ ও শক্তিশালী খেলোয়াড়রা রয়েছে আমাদের দলে। বল ভাল পাস করাটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমার মতো স্ট্রাইকাররা এ জন্য যথেষ্ট সাহায্য পায়। জনি, রয়দেরও জায়গায় যেতে সুবিধা হয়। অনুশীলনে আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করি এবং অনুশীলনে যা করি, তা ম্যাচেও করে দেখাই। আমরা তৈরিই আছি। শুধু পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে আমাদের। তা হলে ম্যাচে নেমে আমরা খেলাটাকে উপভোগ করতে পারি এবং আত্মবিশ্বাসও পাই। তাই ৯০ মিনিটের শেষে যখন আমরা মাঠ ছেড়ে বেরোই, তখন ক্লান্ত হলেও আমাদের মুখে কিন্তু হাসি লেগে থাকে।”

এরপরে উইলিয়ামস বলছেন,”এএফসি স্তরে কোনও হ্যাটট্রিক ছিল না। তবে আমার ফুটবল কেরিয়ারে আরও বার দুয়েক হ্যাটট্রিক পেয়েছি। সমর্থকেরা অসাধারণ ছিল আজ। যখনই আক্রমণে উঠেছি, তখনই গ্যালারি থেকে আমাদের উৎসাহিত করেছেন সমর্থকেরা। অনেক দিন পরে এই মাঠে খেললাম। সমর্থকদের ছাড়া ফুটবল থেকে আবেগটা হারিয়ে যায়। যার ফলে মাঝে মাঝে খেলার মানও নেমে যায়। মাঠের বাইরে থেকে যদি কেউ আমাদের জন্য গলা না ফাটায়, তা হলে ভাল খেলব কী করে? ক্লান্ত হয়ে পড়লেও সমর্থকেরাই ফের চাঙ্গা করে তোলেন।”

এবার সবুজ মেরুন ব্রিগেডের পরীক্ষা আরও কঠিন। এই জয়ের ফলে আগামী মাসে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল সবুজ-মেরুন বাহিনী। যেখানে উঠে রয়েছে গোকুলাম কেরালা, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মালদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি। গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচগুলি হবে ১৮ মে থেকে কলকাতায়। এই পর্বে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার পরে গ্রুপের এক নম্বর দল ইন্টার জোন প্লে অফ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।