ক্রীড়া

এটিকে মোহনবাগানকে রুখতে চায় আবাহনী

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ভারতীয় ফুটবল আইএসএলের সৌজন্যে এগোচ্ছে না পিছিয়ে যাচ্ছে সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু ক্রিকেটের মত ফুটবলেও বাংলাদেশ এগোচ্ছে। আর তার প্রমাণ তিন বছর আগে ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ। যেখানে অনেক কষ্টে ড্র করেছিল ভারত। তবে ভারত আর বাংলাদেশ ম্যাচ না হলেও দুই বাংলার অন্যতম সেরা ক্লাব এটিকে মোহনবাগান ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেড লড়াই বঙ্গভঙ্গ যুদ্ধর থেকে কম কিছু নয়। আর তাই তো এএফসি কাপের এই ম্যাচ উপভোগ করতে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এসেছেন। তাঁদের দেখা গেল যুবভারতীর টিকিট কাউন্টারের সামনে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নবীব নিয়াজ জীবন ম্যাচের আগে জানিয়ে গেলেন, “যুবভারতীতে দর্শক থাকছে এটা ভালো জিনিস। বাংলায় বাংলার দলের বিরুদ্ধে খেলা সমর্থকদের সমর্থন ওদের জন্য থাকবে সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আমরা পেশাদার ফুটবলার । সেই কারণে আমরা বিপক্ষ দলের দর্শকদের বিরুদ্ধে খেলতে অভ্যস্ত।” বঙ্গভঙ্গ যুদ্ধের আগে থাকছে দুই বাংলার মৈত্রীর পরিবেশও। যেমন এটিকে মোহনবাগান দলের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল চিকিৎসার জন্য ভাল এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেছিলেন বাংলাদেশের নামী তারকার জন্য। পাশাপাশি প্রতিদিন দুপুর থেকে হাসপাতালে পড়ে থাকতেন প্রীতম। দাদার মতো পাশে থেকে নাবিবকে সহায়তা করেছেন। শুধু তাই নয়, চিকিৎসার পরেই সেইসময় ঘোষণা হয়, কোনও বিমান কলকাতা থেকে ছাড়বে না। সেইসময় বাংলাদেশে ফেরানোর ব্যবস্থাও করেছিলেন বাগানের নামী ডিফেন্ডার। তিনি নিজের উদ্যোগে গাড়ি ভাড়া করে নাবিব ও তাঁর স্ত্রীকে পেট্রােপোল সীমান্ত দিয়ে সড়কপথে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।
সেই অতীতের ঘটনা ভোলেননি নাবিব। তার কথায়,মাঠে নেমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো হবেই, কিন্তু প্রীতমের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নাবিব নিয়ে এসেছেন পদ্মার ইলিশ মাছ।
আবাহনীর স্ট্রাইকার কলকাতায় এসেই বলেছেন, ‘‘প্রীতম দাদা আমার জন্য যা করেছিলেন সেইসময় আমার আত্মীয়রাও করবে না। আমি দাদার জন্য সুস্থ হতে পেরেছি, সেইসময় বাড়ি যেতে পেরেছিলাম । তাই আমার স্ত্রী প্রীতম দাদার জন্য এই ইলিশ মাছ উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। তবে মাঠে আমাদের লড়াই কিন্তু থাকবে।” ভারতীয় ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, “ভারতের ফুটবল আইএসএল আসার পরে এগিয়েছে অনেক। কিন্তু ভুললে চলবে না আমাদের দেশের ফুটবলও খুব পেশাদার হয়েছে। আমরা লড়াই থেকে পেছনে আসবো না।” বাংলাদেশের আবাহনী দলের কোচ মারিও লিমস জানালেন,” চেন্নাই, মিনার্ভা এদের বিরুদ্ধে নেমে ভারতীয় ফুটবলে খোঁজ খবর জানা আছে মহামেডানও অতীতে বসুন্ধরার মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু এটিকে মোহনবাগান প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাদের কাছে অপরিচিত। তবে ওদের ক্লাব যেহেতু এএফসি কাপ খেলছে আর নিজেদের মাঠে মাঠে খেলছে সেই কারণে ওদের সমীহ করছি।”