এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
অবৈধভাবে নদীর পাড় কাটার অভিযোগ উঠল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লকের ধবনী এলাকায়। কেলেঘাই নদীর উপর দীর্ঘ বছর ধরে একটি সেতু আছে। সেই সেতু পুরাতন হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার পাশে কংক্রিটের সেতু নির্মিত হচ্ছে। খড়্গপুর ও কেশিয়াড়ির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করতেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ। কাজের বরাত পেয়েছেন পি.ডব্লিউ.ডি-র এক ঠিকাদার। কিন্তু সেতু তৈরি করতে গিয়েই কেলেঘাই নদীর পাড়ের মাটি কেটে ফাঁকা করছেন নবকুমার ভুঁইয়া নামে ওই ঠিকাদার। এমনই অভিযোগ তুলেছেন খড়্গপুর গ্রামীণের ধবনী এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ব্রিজ বা সেতু তৈরি করার সময় ব্রিজের পাশে যে সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করতে হয়। ওই ঠিকাদার নদী পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে গিয়েই ওই রাস্তা তৈরি করেছেন সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। আর এভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি তুলে নিয়ে যাওয়ার ফলে বর্ষার সময় প্লাবনের আশঙ্কা করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। ওই ঘটনায় ঠিকাদার নবকুমার ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”সেখানে নদীর পাড় কাটার কোন ব্যাপার নয়। আমরা গভর্মেন্টের রুল অনুযায়ী ডিপার্টমেন্ট যেমন কাজ বলেছে, আমরা করছি।”
এই সম্বন্ধে জেলা পূর্ত কর্মদক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন,”এগুলো পি.ডব্লিউ.ডি-র আন্ডারে। ওই ব্রিজের পাশে একটি নতুন ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার লোকেরা যে অভিযোগ করেছে আমি খোঁজ নিয়ে দেখলাম সেটা বাস্তব অভিযোগ। কন্ট্রাকটর অ্যাপ্রচিং রোডের জন্য যে মাটি কাটছেন, সেই মাটি তাকে বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসতে হবে। পি.ডব্লিউ.ডি কোনমতোই পারমিশন দিতে পারেনা নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার জন্য। কন্ট্রাকটর যেসব কথা বলেছে, সেই বিষয়ে তদন্ত হবে। যতটা ওখানে মাটি কাটা হয়েছে পি.ডব্লিউ.ডি কে অবিলম্বে জানিয়ে দেবো মাটি পূরণ করার জন্য।”
এই সম্বন্ধে পি.ডব্লিউ.ডি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অতনু মাইতি বলেন,” আমি ডিপার্টমেন্টের লোক পাঠিয়ে ওখান থেকে রিপোর্ট কালেক্ট করতে বলেছি।” এই সম্বন্ধে খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবদত্ত চক্রবর্তী বলেন,” এলাকাবাসীরা আমাকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমি তাদের লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর কথা বলেছি। লিখিতভাবে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”