রাজ্য

অনন্ত মহারাজের নিরাপত্তা রক্ষীদের সরকারি চাকরির প্রস্তাব, একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এনএফবি, কোচবিহারঃ

বীর চিলা রায়ের নামে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি কোচবিহারের বাণেশ্বর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে বীর চিলা রায়ের জন্ম উৎসবে যোগ দিয়ে ওই প্রকল্প গুলোর কথা ঘোষণা করেন।

এদিন, তিনি বলেন চিলা রায়ের বিশাল আকার আবক্ষ মূর্তি তৈরী করা হবে ৷ যেটা কোচবিহার তুফানগঞ্জ রোডের বাবুরহাট চেকপোস্ট এলাকায় স্থাপন করা হবে। এছাড়াও সিদ্ধেশ্বরী যাওয়ার নব নির্মিত রাস্তার নাম বীর চিলা রায়ের নামে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হবে। যার নামকরণ করা হবে চিলা রায়ের নামে বলেও জানান তিনি।

এদিন দুপুর প্রায় ১টা নাগাদ কোচবিহার থেকে সিদ্ধেশ্বরীতে পৌঁছোন তিনি। সেখানে শিব চণ্ডীর পুজোয় অংশ নেওয়ার পর চিলা রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ প্রকল্পের উল্লেখ করেন। এরমধ্যে অন্যতম কামতাপুরি, রাজবংশী ভাষাকে সরকারী স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানান, পুলিশে নারায়ণী ব্যাটেলিয়নের কথাও উল্লেখ করেন। অনন্ত মহারাজের সাথে থাকা সাদা পোশাক, হলুদ গামছা এবং মাথায় পাগড়ি দেওয়া ‘নারায়ণী সেনা’নামের যুবকদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার কথাও এদিন ঘোষণা করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কোচবিহার শহর হেরিটেজ টাউন হিসেবে তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন বক্তব্যে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই কোচবিহার শহর দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত হবে।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের দেওয়া পদ্মশ্রী শেষ বয়সে সন্ধ্যাদিকে ধাক্কা দিয়েছেঃ মমতা

২০১৯ লোকসভায় কোচবিহার সহ একাধিক এলাকা হাতছাড়া হয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। এর পিছনে রাজবংশী ভোট বিজেপির দিকে চলে যাওয়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গ্রেটারদের একটি অংশ যা বংশীবদন বর্মণের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের সমর্থন অনেক আগেই পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু অধরা থেকে গিয়েছিল অনন্ত মহারাজ গোষ্ঠী। এবার সেই গোষ্ঠীকে সাথে নিতেই এদিন কোচবিহারে গ্রেটার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রীর আসা বলে অনেকেই মনে করছেন। মঞ্চে উঠে রাজ্য সরকার রাজবংশী ও কামতাপুরিদের উন্নয়নে কি কি করেছে, আগামী দিনে কি করবে সে সবই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কোচবিহারের মানুষকে তাঁর সরকারের উপরে ভরসা রাখার জন্য আবেদনও জানিয়েছেন তিনি ।