ক্রীড়া

ঝাড়খণ্ড ম্যাচে রানের পাহাড়ে বাংলা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

বেঙ্গালুরুতে রঞ্জি কোয়াটারে রানের পাহাড়ে বাংলা। দ্বিতীয় দিনের শেষে পাঁচ উইকেটে ৫৭৭ রান বঙ্গ ব্রিগেডের। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এলেও এদিন বড় রান করলেন বাংলার নির্ভরযোগ্য ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার। দিনের শুরুতেই রঞ্জিতে এই নিয়ে ১০টি শতরান করে ফেললেন। শতরান করেই পকেট থেকে কাগজ বের করেন বাংলার রুকু । তাতে লেখা ছিল শুভ জন্মদিন পোপো তোমাকে ভালোবাসি খুব । নিজের ছেলের জন্মদিনে না থাকতে পারলেও তাকে এভাবেই শুভেচ্ছা জানালেন অনুষ্টুপ। ১৯৪ বলে তিনি ১১৭ রান করে শাহবাজ নাদিমের বলে ক্যাচ আউট হন। এরপরে প্রথম দিন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া অভিষেক রমণ নামেন। অর্ধশতরান করে ৬১ রান করে স্টাম্প আউট হন অঙ্কুল রায়ের বলে। তবে ক্রিজে ছিলেন সুদীপ ঘরামি। নিজের দ্বিশতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি সেটা হয়নি। ১৮৬ রানে আউট হয়ে যান তিনি। প্রথম দিন পেশির টানের কারণে রমন ৪১ রান করে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে তার আউট নিয়ে আছে বিতর্ক লেগ-স্টাম্পের বাইরের বল সুদীপের ব্যাটে লেগেছিল কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। আম্পায়ার আঙুল তোলার পরে রীতিমতো হতবাক দেখায় ঘরামিকে। তাঁর শরীরিভাষায় হতাশা ধরা পড়ছিল স্পষ্ট। তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন যে, বল তাঁর ব্যাটে লাগেনি।৩৮০ বলের ইনিংসে সুদীপ ২১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ারে এটিই তাঁর প্রথম শতরান। ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করা হয়নি সুদীপের । তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটার ৬৮ রান করে সুশান্ত মিশ্রর বলে আউট হন। দিনের শেষে ক্রিজে আছেন মনোজ তিওয়ারি ( ৫৪) রান করে আর শাহবাজ আহমেদ (৭) রান করে। তৃতীয়দিন বোলিংয়ে যত তাড়াতাড়ি ঝাড়খণ্ড ব্যাটিংকে আউট করে সরাসরি জয়ের টার্গেট নিয়ে নামবে বঙ্গ ব্রিগেড।

দিনের শেষে শতরান করা অনুস্টুপ জানালেন,”বাংলার হয়ে রান করা সবসময়ই ভালো লাগে কিন্তু একই সঙ্গে আমার ইনিংসকে বড় ইনিংসে রূপান্তর করতে না পারায় আমি খুবই হতাশ। উইকেট ভালো ছিল, আমরা তাদের বোলারদের ভালোভাবে খেলেছি , আরও বেশি রান করা উচিত ছিল। যদিও আমি যে বলে আউট হলাম সেটা ভালো বল ছিল । সুদীপ অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, আমরা তাকে সাহায্য করেছি মাত্র। অভিষেক পোড়েলও রঞ্জি শুরুর প্রথম থেকে যেভাবে ছন্দে ছিল এদিন সেটাই করলো।আমরা ভালো ব্যাট করেছি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট পেসারদের সাহায্য করবে।”