ক্রীড়া

[:en]রঞ্জিতে ব্যাকফুটে বাংলা[:]

[:en]

এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ

ঘরের মাঠে ৩৩ বছরের রঞ্জি ট্রফি জয়ের খরা কাটানোর সুবর্ণ সুযোগ এসেছে বাংলার ক্রিকেট দলের কাছে। তবে ১৬ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২২-২৩ রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে বাংলার ব্যাটাররা যে পারফর্ম্যান্স করেছে, তাতে শিরোপা জয়ের ব্যাপারে খুব বেশী আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। ইডেন গার্ডেন্সের পেস-সহায়ক পিচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা বাংলা প্রথম ওভারেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল যখন সদ্য জাতীয় দল থেকে ফেরা জয়দেব উনাদকাট ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরনকে শুন্য রানে ড্রেসিং রুমে ফেরান।

সেই পরিস্থিতি থেকে বাংলা উদ্ধার লাভ করতে পারেনি এবং মাত্র ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলার ছন্নছাড়া বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন সৌরাষ্ট্রর ব্যাটাররা। দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রর স্কোর ১৭ ওভারে ৮১/২। বাংলার প্রথম ইনিংস স্কোরের চেয়ে ২০১৯-২০ রঞ্জি ট্রফি বিজয়ীরা পিছিয়ে ৯৩ রানে।ইডেনের পিচ পেসারদের সাহায্য করবে তা আগে থেকেই প্রত্যাশা করা হয়েছিল এবং বাংলা স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিককে বাদ দিয়ে অতিরিক্ত পেসার হিসেবে আকাশ ঘটককে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু প্রথম ওভারে অভিমন্যুর উইকেট হারানোর পরে টপ অর্ডারের বাকী ব্যাটাররা ড্রেসিং রুমে তাঁকে অনুসরণ করেছিলেন বিশেষ কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই। বাঁ-হাতি পেসার চেতন সাকারিয়া তাঁর প্রথম ওভারে ও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আউট করেন অভিষেককারী সুমন্ত গুপ্ত ও সেমি-ফাইনালের সেঞ্চুরিয়ন সুদীপ কুমার ঘরামিকে।

বাংলার ত্রাতা শাহবাজ ও অভিষেক মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপ মজুমদারের অভিজ্ঞ ব্যাটিং জুটিও বাংলার ইনিংসকে সাবলীল করতে পারেননি এবং দুজনেই অতি-আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন। লাঞ্চের আগে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলার ইনিংসকে টানেন শাহবাজ আহমেদ (৬৯) ও অভিষেক পোড়েল (৫০)। দ্বিতীয় সেশনে দুজনেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলছিলেন এবং কোনো অতিরিক্ত ঝুঁকি না নিয়ে নিয়মিত ব্যবধানে বাউন্ডারি মারছিলেন।

দু’জনের মিলে সপ্তম উইকেটে ১০০ রানের বেশী পার্টনারশিপ গড়েন। তবে চা পানের বিরতির আগের ওভারে ধর্মেন্দ্রসিং জাডেজার এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে অভিষেক ডিআরএস নিয়ে রক্ষা পেলেও, শাহবাজের গ্লাভসে বল লেগে শর্ট লেগের কাছে যাওয়ার পরে একটি অসামান্য পার্টনারশিপের সমাপ্তি হয়। টি ব্রেকের পরে বাংলার টেল-এন্ডাররা বিশেষ সহায়তা করতে পারেননি অভিষেককে। বাংলাকে ১৭৪ রানে আটকে রাখার ক্ষেত্রে সোরাষ্ট্রর হয়ে সবচেয়ে বেশী প্রভাব বিস্তার করেন উনাদকাট (৩/৪৪) ও সাকারিয়া (৩/৩৩)।

২০০ রানও অতিক্রম করতে ব্যর্থ হওয়া দলের তখন প্রয়োজন ছিল বল হাতে তাৎপর্যপূর্ণ পারফর্ম্যান্স দেখানো। কিন্তু বাংলার বোলাররা লাইন ও লেংথে নিয়মিত ভুল করায়, সৌরাষ্ট্রর ওপেনাররা নিয়মিত বাউন্ডারি মারতে থাকেন এবং রান রেট ৬-এর বেশী রাখছিলেন। আকাশ দীপের একটি ডেলিভারি জয় গোহিল ছাড়তে দেরি করে ফেলায়, ব্যাটের ইনসাইড এজে লেগে তাঁর স্টাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও সৌরাষ্ট্রর ব্যাটাররা রানের গতি কমাননি। দিনের শেষে বিশ্বরাজ জাডেজার উইকেট নিয়ে মুকেশ কুমার ক্ষীণ আশা জাগালেও, বাংলাকে ম্যাচে ফিরতে হলে দ্বিতীয় দিন সকালে অনবদ্য বোলিং প্রদর্শন করতে হবে।

[:]