ক্রীড়া

হিমাংশুর শতরানে রঞ্জির প্রথমদিনের শেষে চাপে বাংলা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

রঞ্জি সেমিফাইনালে প্রথম দিনের শেষে খানিকটা চাপে বাংলা। দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ তুলেছে ৬ উইকেটে ২৭১। যা এই স্পিন সহায়ক পিচে যথেষ্ট রান। টস জিতে ব্যাটিং করে মধ্যপ্রদেশ। স্পিন নির্ভর পিচে ইশান পোড়েলকে বসিয়ে প্রদীপ্ত প্রামানিককে খেলায় বঙ্গ ব্রিগেড। যদিও শুরুটা বেশ ভালোই করে বাংলা দল। প্রথম উইকেটটি ৪.৫ ওভারে ১০ রানের মাথায় তুলে নিয়েছিলেন মুকেশ কুমার। যশ দুবে ১৮ বলে ৯ রান করে লেগ বিফোর হন। ২৬.১ ওভারে ৫৯ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। প্রদীপ্ত প্রামাণিক নিজের প্রথম বলেই তিনি তুলে নেন শুভম শর্মার উইকেট। ৫৩ বলে ১৭ করেন শুভম। ইডেনে আইপিএলে দুরন্ত শতরান করা রজত পতিদার অবশ্য এদিন ব্যর্থ। ১৭ বলে ৭ রান করে তিনি আউট হন মুকেশ কুমারের বলে, স্লিপে ক্যাচ ধরেন মনোজ তিওয়ারি। ৩১.২ ওভারে ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়েছিল। এরপর ৪৪.১ ওভারে ৯৭ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তবের ব্যাটে লেগে শাহবাজের করা বল উইকেট ভেঙে দেয়। ৩০ বলে ১০ রান করেন আদিত্য। হিমাংশু মন্ত্রী টিকেছিলেন, তিনি আকসট রঘুবংশীকে নিয়ে ইনিংস টেনে নিয়ে যান। রঘুবংশী করেন ৬৩। শতরান করেন হিমাংশু। দিনের শেষে ২৮০ বলে ১৩৪ রানে অপরাজিত আছেন , পুনিত দাতে ৯ রানে ক্রিজে রয়েছেন। মন্ত্রীর ইনিংসে রয়েছে ১৫টি চার ও একটি ছয়। দুটি করে উইকেট আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমারের। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শাহবাজ আহমেদ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক। ৮১.৩ ওভারে ২৫৯ রানে মধ্যপ্রদেশের ষষ্ঠ উইকেটটি পড়ে। সারাংশ জৈন ৩২ বলে ১৭ রানে আকাশ দীপের বলে বোল্ড হন। দিনের শেষে বাংলার কোচ অরুণলাল জানালেন,” টস হারাটা ফ্যাক্টর হয়ে গেল। তবুও বোলাররা ভালো বল করেছে। ওদের ৯৭ রানের মাথায় চার উইকেট ফেলে দেয়। এই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যেটা খুবই কার্যকরী। যদিও ওদের রঘুবংশী বেশ ভালো ব্যাট করেছে। ও একজন স্পেশাল ট্যালেন্ট। দ্বিতীয় দিনে আর ৫০ রানের মাথায় ওদের শেষ করাই আমাদের লক্ষ থাকবে।”