দামের ঘায়ে মূর্ছা যাওয়ার পরিস্থিতি! সংকটে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই

মনোদীপ ব্যানার্জী, বহরমপুরঃ

ভ্যালেন্টাইস ডে তে ফুলের দাম থাকে বরাবর ঊর্ধ্বমুখী। তবে এবারে বিয়ের মরশুম সেই চড়া দামকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছে। অগ্রহায়ণ মাসের বিয়ের প্রথম দিনে, ফুলের দামে মাথায় হাত ফুল বিক্রেতাদের। কয়েকদিনে মধ্যে বহরমপুরের ফুল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল প্রতি একশো গোলাপের দাম ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে।

প্রতি কেজি রজনীগন্ধার দামও এখন ২৮০ টাকা যা কিছুদিন আগে পর্যন্ত ১৫০ টাকার মধ্যেই ওঠানামা করতো। দাম বেড়েছে গাঁদারও। তবে সব থেকে বেশি দাম জুঁই ফুলের, প্রতি পিস ৫০ টাকা।

প্রবল বৃষ্টি ও মেদিনীপুরের বন্যা বিয়ের মরশুমে ফুলের দাম বৃদ্ধির কারণ বলে ফুল বিক্রেতারা জানান। ফুল বিক্রেতা নির্মল বালা জানান, “বন্যায় মেদিনীপুর ডুবে যাওয়ায়, রানাঘাট থেকে নিতে হচ্ছে ফুল আর তাতে দামও পড়ছে বেশি। তাই ফুলের আকাল এবারের বিয়ের মরশুমে।” শুধু মুর্শিদাবাদ নয় উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতেও ফুল সাপ্লাই হয় নদীয়া থেকে, তাই এবারে ফুলের দাম সর্বত্র বেশি বলেই মত ফুল বিক্রেতাদের।

flowers

রোমা সাহা নামের এক ফুল বিক্রেতা জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ ছিল দোকান বাজার। এখনও মানতে হচ্ছে, অনুষ্ঠান বাড়িতে নানান বিধিনিষেধ, ফলে ফুলও বিক্রি হচ্ছে কম। লেবার চার্জও এখন বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি, ফলে এই বাজারে তাদের বেচাকেনায় ঘাটা পড়েছে। দুদিনের বেশি কোন ফুল থাকবে না তাই সেখানেও লোকসান, তাই বিয়ের মরশুমের শুরুতেই বেশ ধাক্কা খেল এবারের ফুলের বাজার বলেই মত বহরমপুরের ফুল বিক্রেতাদের।