এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট মানেই ফুলের হাট। রাজ্যের মধ্যে ফুল চাষে কোলাঘাটের উল্লেখযোগ্য স্থান রয়েছে। কিন্তু অসময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারির গ্রাসে ফুলচাষিরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সম্মুখীন হয়েছে ৷ এর মধ্যেও প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ফুল ফুটেছে। পাপড়ি মেলেছে ক্যামেলিয়া, স্নোবল, ডালিয়া, গাঁদা, বৈচিত্র্যময় চন্দ্রমল্লিকা থেকে বাহারি গোলাপ সহ আরও সব শীত মরসুমের অতিথির দল। কোলাঘাট নতুন বাজার রূপনারায়ণ নদের পারে নৈসর্গিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে ফুলের সম্প্রচার মূলক পুষ্প প্রদর্শনী ৷ যা বাড়িতে বসে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, ১৬ জন ফুলচাষি সহ পুষ্পপ্রেমীরা বাড়িতে ও বাগানে পরম যত্নে নানান রকম ফুল ফুটিয়ে প্রায় সাতশোটি টব জমা দিয়েছেন এই পুষ্প প্রদর্শনীতে। ৯ জানুয়ারি রবিবার শীতের ভোরে উদ্বোধনের দিন গোষ্টপদ বেরা, অজিত মাইতি, স্বপন মাজী, ডাঃ শ্যামল আদক, কিশোরী মন্ডল, শুভেন্দু ভৌমিক সহ অংশগ্রহণকারী ফুলচাষি ও পুষ্পপ্রেমী মালিদের সংবর্ধনা দিয়ে সম্মানিত করা হয়। প্রবেশ মুখে, প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে এবং ফুলের টবে টবে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ছোট বড় ক্যাপশনের মধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মহামারি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিভিন্ন বার্তা ৷ স্বাস্থ্যবিধি মান্যতায় প্রচারপত্র, মাস্ক বিতরণ ও সকলের হাত স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে । সম্প্রচার মূলক এই পুষ্পপ্রদর্শনী বাড়িতে বসে দেখার আবেদন করা হয়েছে। তবুও অতি উৎসাহী যারা আসছেন, তাদের জন্য প্রদর্শনী খোলা থাকছে কেবল দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এদিন ,পুষ্পপ্রেমী শ্যামল আদক বলেছেন, “কোলাঘাট ফুলের জন্য বিখ্যাত। তাই ফুল চাষিদের উৎসাহ দিতে এবং যারা ফুল ভালোবাসেন তাদের কথা ভেবেই এই আয়োজন। তবে তা যেমন করা হয়েছে সুরক্ষা বিধির মোড়কে, তেমনি এই ফুলের সমারহের মধ্যেই মানুষের উদ্দেশ্যে স্বাস্থবিধি সহ সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে”। অন্যান্য বছরে এই আয়োজন ঘিরে যে নানা রকম অনুষ্ঠান হত, সেগুলি প্রায় সব বাতিল করে সীমিত দর্শক ও সময় ধার্য্য করে কেবল প্রদর্শনী করা হয়েছে বলে এদিন আয়োজকরা জানিয়েছেন।