ক্রীড়া

বদলা নেওয়া হলো না সন্তোষে, কেরালার কাছে হার বাংলার

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

না চার বছর আগে যুবভারতীতে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালের হারের বদলা নিতে পারলো না বাংলা। কেরালার মাটিতে কেরালার কাছে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হার ২-০ গোলে হার মানল টিম বেঙ্গল ।

এদিনও কেরালার মাঠের সমর্থকরা তাঁদের দলের খেলায় মাঠ ভরিয়েছিল। বাংলা গত পঞ্জাব ম্যাচে জয়ী দলের কোনো পরিবর্তন করেনি। চোট নিয়েও মাঠে নামেন বাংলার অধিনায়ক মনোতোষ চাকলাদার। ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলার বক্সে আক্রমণ শুরু করে কেরালা। প্রথম দশ মিনিটেই তারা দুই গোলে এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু একের পর এক সহজ সুযোগ মিস করে। প্রথমার্ধতে কেরালা চার গোলে এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্ত বাংলার গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিং এবং বাংলার ডিফেন্ডাররা মান বাঁচায় বাংলার। অন্যদিকে বাংলার ফরওয়ার্ড লাইন গোলের কোনো সুযোগই তৈরী করতে ব্যর্থ। দ্বিতীয়ার্ধে খানিকটা গোলের সুযোগ খোলে বাংলা । তবে ফের গোল মিসের ধারা বজায় থাকে। ম্যাচ যখন প্রায় ড্র হওয়া নিশ্চিত ঠিক তখনই একদম শেষ মুহূর্তে পাসিং ফুটবলে বাজিমাত করে কেরালা। ৮৫ মিনিটে জিজো জোশেপ দ্বিতীয় গোল করেন। গত রাজস্থান ম্যাচে কেরালার এই ফুটবলার হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এদিন তিনি বাংলার বিরুদ্ধে জয়ের ভীত তৈরী করেন। এরপরে কিন্তু বাংলার জন্য সুযোগ এসেছিল দ্বিতীয়ার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে। সুপ্রিয় পান্ডিত জোরালো শট কেরালা বক্সে মারলে সেটা তাঁদের গোলকিপার দক্ষতার সঙ্গে গোললাইন সেভ করেন। সেই গোল হয়ে গেলে ম্যাচের ছবি অন্যরকম হতেই পারতো। তবে অতিরিক্ত সময়ে কেরালার জেসিন বাংলার ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে দলের দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচে বাংলার আশা শেষ করে দেয়। এই ম্যাচ জয়ের পরে কেরালার শেষ চারে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত। একইসঙ্গে এই হারের পরে বাংলার পরের মেঘালয় আর রাজস্থান ম্যাচ কার্যত মরণ বাঁচন হয়ে গেলো।

দলের হারের পরে কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য জানাচ্ছেন, “ছেলেরা লড়াই করেছে তবে জয়টা আসেনি। পুরো ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে কখনও ছিল কখনও ছিল না। কিন্তু ফুটবলে কাজের কাজ গোল। কেরালা সেই কাজ টা করেছে। এই হারটা ভুলে পরের দুই ম্যাচে আমাদের ফোকাস করতে হবে। বাংলা এমন পরিস্থিতি থেকে আগেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবারও ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস করি।” আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় কেরালাতেই। তিনি জানান,”এখানে প্রচন্ড গরম।ছেলেরা এই প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে বাংলার স্বার্থে দুর্দান্ত লড়াই করেছে । হার জিত খেলার অঙ্গ আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই। কোচ আর ফুটবলারদের উপর আমাদের ভরসা আছে। ফুটবলারদের যাতে কোনও সমস‍্যা না হয় সেই দিকে আমরা নজর রাখছি।”
বাংলার পরবর্তী তৃতীয় ও চতুর্থ ম‍্যাচ যথাক্রমে ২২(প্রতিপক্ষ মেঘালয়) ও ২৪ এপ্রিল (প্রতিপক্ষ রাজস্থান)।