ক্রীড়া

খোঁচা খাওয়া বাঘের মত ফিরে চেন্নাই ম্যাচ ড্র লাল হলুদের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

খোঁচা খাওয়া বাঘের মতই ইস্টবেঙ্গল ভয়ঙ্কর। আর ডার্বি হারের পরের ম্যাচে তো লাল হলুদ জার্সিকে আটকানো আরও মুশকিল হয়ে যায়। সেই জিনিসটাই হল বুধবার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে। পিছিয়ে পড়েও শেষমুহূর্তের লড়াইতে চেন্নাই ম্যাচ ২-২ ব্যবধানে ড্র করল লাল হলুদ ব্রিগেড। যদিও শুরু থেকেই ডিফেন্সের দুর্বলতা ভোগালো এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। এদিন শুরু থেকেই আগাগোড়া আধিপত্য বিস্তার করে চেন্নাই। লাল হলুদ ডিফেন্স গত ডার্বি ম্যাচে যতটা ভাল খেলেছিল, এদিন সেই একাগ্রতা দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। ম্যাচের ১৫ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে অরিন্দমকে পরাস্ত করেন নিনথোই। এর ২ মিনিট পরে আত্মঘাতী গোল করে বসেন লাল-হলুদের বাংলার ডিফেন্ডার হীরা মণ্ডল। শুরুতে দুই গোল খেয়ে ডিফেন্স শক্ত করে লড়াই করে আক্রমণে এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল এলোনা প্রথমার্ধে, কারণ গোলের জন্য মার্সেলো-পেরোসেভিচ জুটির উপরেই ভরসা রেখেছেন কোচ রিভেরা। সেই দুজনেই একের পর এক চেন্নাই বক্সে গোলের সুযোগ পেয়ে মিস করলেন। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমশ রক্ষণাত্মক হতে শুরু করে চেন্নাই এবং কাউন্টার অ্যাটাকেও উঠছিল মাঝে মাঝে। অন্য দিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গলও গোলের জন্য মরিয়া ওঠে। তবে তাদের আক্রমণ ছিল মূলত পেরোসেভিচ-কেন্দ্রিক। তারা গোল মিস করতে থাকেন। মার্শেলো ডান দিকের উইং দিয়ে বারবার উঠছিলেন। বক্সে দুইবার ফাঁকা পেয়েও বাইরে মারলেন। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বেশ কয়েক বার চেন্নাইনের গোলের কাছে পৌঁছে গেলেও কাজের কাজ হয়নি। সহজ সুযোগ ছাড়েন মার্সেলো, পেরোসেভিচরা। দু’এক বার ছাড়া বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি চেন্নাইনের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারকে। ৪৮ থেকে ৫২ মিনিটের মধ্যে পরপর দু’বার পজিটিভ সুযোগ তৈরি করে নেন তাঁরা। প্রথমবার একটি গোলমুখী সেন্টার ফিস্ট করে বার করে দেন অরিন্দম এবং তার তিন মিনিট পরেই জর্ডন মারের গোলমুখী হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। বল থেকে তখন অনেকটা দূরেই ছিলেন গোলকিপার। ৬০ মিনিটে ম্যাচে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। ফ্রিকিক থেকে গোল করলেন সিডোয়েল। প্রথম গোল করেই রক্তের স্বাদ পেয়ে যায় লাল হলুদ ব্রিগেড। ক্রমশ চেন্নাই বক্সে আক্রমণ করে। কিন্তু বাংলার দেবজিৎ মজুমদার গোলে দক্ষতার পরিচয় দেন। এরপরে মারিও খেলা শেষ হওয়ার পনেরো মিনিট আগে হুরিডম সিংয়ের জায়গায় অমরজিৎ ও সৌরভ দাসের জায়গায় রানতেকে নামান।শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে কর্নার থেকে গোল করেন পরিবর্ত হিসাবে নামা নামতে। এক পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় ১১ থেকে ১০ নম্বরে এল লাল-হলুদ ব্রিগেড।

আরও পড়ুনঃ ডার্বির পরে এটিকে মোহনবাগানের বড় লড়াই মুম্বই এফসি