ক্রীড়া

এখনও বাংলার ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আশাবাদী কোচ অরুণলাল

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে দুটো বছর। কিন্তু বদলায়নি বাংলার ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার চেহারাটা। ২০২০ সালে শেষবার রঞ্জি ট্রফি দুয়ারে এসে এই ব্যাটিং ভরাডুবির জন্যই হাতছাড়া হয়। ২০২২ সালেও এসে একই জিনিস হল। কটকে চলা রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে বারোদাকে ১৮১ রানে শেষ করে দিয়ে ইশান পোড়েল, মুকেশ কুমাররা মঞ্চ তৈরী করে দেন। জবাবে বাংলা প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল মাত্র ৮৮ রানে। ওপেনার সুদীপ ঘরামির সর্বোচ্চ ২১ রান করেন। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন (৪), সুদীপ চট্টাপাধ্যায় (১১), অনুষ্টুপ মজুমদার (০) ও মনোজ তিওয়ারি (০)। মোট সাত জন ব্যাটার তো রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এতো কিছুর পরেও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী বঙ্গ দলের কোচ অরুণলাল। অরুণলালের বক্তব্য, “আমাদের শুধু ভালো ব্যাটিং করতে হবে। এছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। তাহলেই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমি আশাবাদী ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে।” এরপর অরুণলাল জানাচ্ছেন,এই উইকেটে কিন্তু কঠিন ছিল ব্যাটিং করা। আমাদের অভিজ্ঞ ব্যাটার অনুস্টুপ মজুমদারের আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে আমি কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। বারোদার বোলাররা ভালো বল করেছে। কিন্তু ডেলিভারি গুলো আনপ্লেবেল ছিল না।” এদিনের ম্যাচে দীর্ঘদিন পরে ব্যাটহাতে নামেন মনোজ তিওয়ারি। মন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথমবার নামলেন তিনি।
রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এতদিন ব্যস্ত ছিলেন রাজনীতি নিয়ে। ভাবা হয়েছিল কিছু করবেন। কিন্তু মন্ত্রী মশাইয়ের রানের খাতা না খুলতে পারা সবাইকে অবাক করলো। চন্দননগরের অভিষেককারী অভিষেক পোড়েল গতকাল দুরন্ত উইকেট কিপিং করেছিলেন। ঈশান পোড়েলের ভাই বড়দের ব্যর্থতার দিনেও ব্যাট হাতে ২১টি রান করলেন তিনটি চারের সাহায্যে। এদিন বরোদার হয়ে একাই ৫ উইকেট তুলে নেন গুজরাতের মিডিয়াম পেসার অতীত শেঠ। ৩ উইকেট পান লুকমন মেরিওয়ালা। দিনের শেষে বরোদা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলেছে। বরোদা লিড করছে ২৩৭ রানে। এমন হতশ্রী ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই উদ্বেগে রাখবে বাংলার টিম ম্যানেজমেন্টকে। গতকাল চার উইকেট নেওয়া ঈশান পোড়েল নিজের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সতীর্থ আকাশ দীপ, মুকেশ কুমারের বোলিংয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, “প্রথম দুই-আড়াই ঘণ্টায় বেশি উইকেট তোলার লক্ষ্যেই নেমেছিলাম।” ৪১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপে আঘাত হেনেছিলেন ঈশানই। উইকেট থেকে সহায়তা মিলছিল, এই ব্রেকথ্রুও খুব প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন বাংলার পেসার। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁদের পারফরম্যান্সের উপরই নির্ভর করছে বাংলার ভাগ্য। এখন দেখার কোচ অরুণলালের আস্থার মর্যাদা দিতে পারেন কিনা বঙ্গব্রিগেড। বলা ভালো বাংলার ব্যাটাররা।

আরও পড়ুনঃ বাঁচাতে পারলেন না, আক্ষেপ বিদেশের