ক্রীড়া

পার্লেতে শততম ম্যাচ পরিচালনায় এরাসমাস

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ান ডে তে নজির করলেন একজন আম্পায়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শততম ম্যাচে আম্পায়ারিং করছেন মারিয়াস এরাসমাস। তিনি তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার, যিনি এই মাইলস্টোন অর্জন করলেন। ৫৭ বছর বয়সী এরাসমাস বর্তমান সময়ে বোল্যান্ড পার্কে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করে তিনি স্পর্শ করলেন রুডি কোয়ের্টজেন ও ডেভিড অর্চার্ডকে।

১৯৯২-২০১০ সাল পর্যন্ত ২০৯টি আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন কোয়ের্টজেন। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের আলম দার (২১১) কোয়ের্টজেনকে ওয়ান ডে আম্পায়ারিংয়ে ছাপিয়ে গিয়েছেন। ১৯৯৪-২০০৩ সালের মধ্যে ১০৭টি ওয়ান ডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন অর্চার্ড। ২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করছেন এরাসমাস। এখনও পর্যন্ত তিনি ৭০টি টেস্টে, ৩৫টি টি-২০ এবং ১৮টি মেয়েদের টি-২০ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। আজ তিনি কেরিয়ারের শততম ওয়ান ডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করছেন। স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা আবেগপ্রবন। এদিন তিনি জানালেন,“আসলে রেকর্ড মাথায় থাকে না। কখনও ভাবিনি জীবনে শততম ম্যাচ পরিচালনা করতে পারব! তবে ভালো লাগছে, আমি এই মাইলস্টোন অর্জন করতে পেরে ভীষণ গর্বিত। এটা ভীষণ কঠিন যাত্রা। কারণ, আমরা সব সময় কড়া স্ক্রুটিনির মধ্যে থাকি। কোনো কিছু ম্যাচের মধ্যে ঘটনা ঘটলে আমাদেরই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কঠিন পরিস্থিতিতে এই প্রাপ্তির জন্য আমি গর্বিত বোধ করছি। ছোটো বেলা থেকে খেলার প্রতি একটা ভালোবাসা ছিল।ক্রিকেটারদের কাছে রেকর্ড যেমন তৃপ্তির, আমাদের কাছেও ঠিক তেমনই। আমরা সবাই খেলার সেবক। কিন্তু মাঝে মাঝে এভাবেই আমরা কিছু মাইলস্টোনের কাছে পৌঁছে যাই। এবং এই অনুভূতিটা বিশেষ হয়। আমার পাশে যারা ছিল খারাপ সময়ে তাঁদের সবাই কে ধন্যবাদ এভাবেই পাশে থাকুন ভবিষ্যতে।”

এরপরে তিনি বলেন,”আমার স্ত্রী কে ধন্যবাদ,কারণ আমাদের বাইরে বাইরে ঘুরতে হয়। সেখানে ও সংসার টা আগলে রাখে। এই সফরটা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার কাছে ও আমার স্ত্রীর কাছে। আমার স্ত্রী অ্যাডেলকে অনেক ভালোবাসা। ও আমাদের যমজ ছেলেদের জন্য নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল এবং ওদের মা ও বাবা দুটোই হয়ে উঠেছিল। ওরা সকলেই খুব সমর্থন করে আমাকে। আরও ম্যাচে মাঠে নামতে চাই। সকলের ভালোবাসা চাই।”