জেলা

করোনাকাল কেটে গেলেও, কিছু জায়গায় কাটেনি নাইট কারফিউয়ের রেশ

এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

শহরের প্রাণকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মঙ্গলপান্ডে সরণি। মেদিনীপুর কালেক্টরেট অফিসের সামনের এই রাস্তাটি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবন, পূর্ত ভবন, পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের কোয়ার্টার কিংবা মেদিনীপুর পুলিশ লাইন যাওয়ার অন্যতম রাস্তা। তবে রাত বাড়লেই শহরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জারি করা হয় “নো-এন্ট্রি”।

সুজিত কুমার শেঠ, ভুক্তভোগী

রীতিমতো ব্যারিকেড লাগিয়ে কড়া পুলিশি প্রহরায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকাকে। বড় গাড়ি যাতায়াত তো দূরস্ত, সাইকেল নিয়েও রাত ১০.৩০ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে দেওয়া হয় না এই রাস্তা দিয়ে। খুব স্বাভাবিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার অপর প্রান্তে থাকা মেদিনীপুর পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষকে রাতের বেলায় বাড়ি যেতে গিয়েও ঘুরে যেতে হয় ৩ কিলোমিটার। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১ বছরের বেশি সময় রাতে এই রাস্তাটি এভাবে নো এন্ট্রি করা হলেও পুলিশ সুপারের তরফে জারি করা হয় নি কোনো লিখিত নির্দেশিক‍া। দীর্ঘ মাওবাদী আমলে শহরের কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এভাবে বন্ধ করা না হলেও এখন কেনো এভাবে রাস্তা বন্ধ করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ পথচারীরা।

অরূপ দাস

যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। সিপিএমের পথে হেঁটেই পুলিশকে নিশানা করেছে জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরুপ দাস। সবমিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়ায় সেই দিকেই নজর রাখার অপেক্ষা করছে সকলে।

সুশান্ত ঘোষ

নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।