ক্রীড়া

মোহনবাগানে খেলবেন বলে আপ্লুত আশিক

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

বেঙ্গালুরু এফসি-তে তিন বছর কাটানোর পরে এ বার কলকাতা অভিযান শুরু হতে চলেছে তরুণ উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ান-এর। এটিকে মোহনবাগান তাদের আক্রমণে ধার আনার জন্য এ বার সই করিয়েছে তাঁকে। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে মাঠে নামাটা যে তাঁর পক্ষে মোটেই সোজা হবে না, তা বুঝেই নিয়েছেন আশিক। কারণ, তিনি এই দলে পাকা জায়গা পেতে অনেক তারকাকেই লড়তে হয়েছে। এমনকী রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসদের মতো কার্যকরী ফুটবলারদেরও পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে একাধিকবার। তাই তাঁর কাছেও এটা ফুটবল জীবনের একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

আইএসএলে গত পাঁচটি মরশুমে খেলে দেশের ফুটবল মহলের নজর কেড়েছেন কেরলের মলপ্পুরম থেকে উঠে আসা ২৫ বছর বয়সি এই ফুটবলার। ৬৫টি ম্যাচ খেলে পাঁচটি গোল করেছেন ও পাঁচটি করিয়েছেন। ২০১৮-র জুন থেকে নিয়মিত খেলেন ভারতীয় দলে। দেশের হয়ে ২৫টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে তাঁর। বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার, সাফ কাপ, আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি, এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই ও মূলপর্ব— সবেতেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

এটিকে মোহনবাগান ক্লাবে সই করে রীতিমতো রোমাঞ্চিত আশিক। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,”যতদূর জানি, এ বার আইএসএলের পাশাপাশি ডুরান্ড কাপ ও সুপার কাপও খেলতে হবে সব দলকে। মরশুম দীর্ঘ হওয়ায় যেমন টুর্নামেন্টের সংখ্যা বাড়বে, তেমনই ম্যাচগুলির মাঝের সময়ও বাড়বে নিশ্চয়ই। তাই রিকভারির জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে। তাতে সবারই শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকবে এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ই আরও বেশি সময় মাঠে থাকার সুযোগ পাবে। তাই মরশুমের শেষে যখন এশিয়ান কাপ শুরু হবে, তখন প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ভাল ফর্মে থাকবে। সবাই পুরোপুরি ফিট থাকবে এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য সবাই তৈরি থাকব আমরা। তাই দীর্ঘ মরশুমের ভারতের ফুটবল ও ফুটবলারদের পক্ষে সবসময়ই উপকারী।
অনেক ফুটবলারের কাছ থেকেই আমি শুনেছি, যে কোনও ফুটবলারেরই কলকাতায় কয়েক বছর খেলে যাওয়া উচিত। আর এ বার সবচেয়ে ভাল প্রস্তাবটা এটিকে মোহনবাগানের কাছ থেকেই পেয়েছি। তাই এই সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে চাইনি।”

নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।