জেলা

মাও নেতার খোঁজ দিলে মিলবে এক কোটি

এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

পিপলস ওয়ারস গ্রুপ ও জনযুদ্ধ গোষ্ঠী সংগঠন বৃদ্ধির কাজের সূত্রে অসীম মণ্ডলের নাম হয় আকাশ। সেই মাওবাদী নেতা আকাশের বাড়িতে ঝাড়খণ্ড পুলিশ,হুলিয়া জারি করে আসলো আজ। আজ ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর জেলার পাটমদা থানার দুই পুলিশ কর্মী আদালতের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ফুলচক গ্রামের মাওবাদী নেতা আকাশ ওরফে অসীম মণ্ডলের বাড়িতে আসে।

এইদিন তারা অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশের বাড়ি ও গ্রামের জনবহুল এলাকায় দুইটি নোটিশ জারি করেন। তাতে লেখা, এক মাসের মধ্যে আকাশ আত্মসমর্পণ না করলে তার সম্পত্তি ক্রোপ করা হবে। এমনকি আকাশের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে ১ কোটি টাকা।

জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ফুলচক গ্রামের বাসিন্দা অসীম মণ্ডল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত। আটের দশকের প্রথম দিকে তিনি গড়বেতা কলেজে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করতেন। আর সেই সময়, লেখাপড়ার মাঝপথে রাজনীতিতে যুক্ত হন। তার পরেই হঠাৎ করে আকাশ নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। নয়ের দশকের দিকে আবার সে চন্দ্রকোনার ফুলচক গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। নয়ের দশকে সুদীপ চোংদার, অসিত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একাধিক গণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে আকাশ।
এমনকি ১৯৯৮-২০০০ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক রাজনৈতিক মামলা হয় এদের বিরুদ্ধে। সেই সময় জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর এক মহিলা অণু মাইতি (ওরফে কল্পনা মাইতি) কে বিয়েও করে বলে জানা যায় এই আকাশ। ধাপে ধাপে ফুলচক গ্রামের অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশ হয়ে ওঠে মাওবাদীর একজন প্রথম সারির নেতা। বর্তমানে আকাশের শুধু ঝাড়খণ্ড নয় এই রাজ্যে একাধিক মামলার আসামী। আর সেই আকাশের খোঁজে ঝাড়খণ্ড পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে।