ক্রীড়া

বাংলা জুড়ে গড়ে উঠছে ফুটসল অ্যাকাডেমি

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

শুধু ফুটবল নয় এবার ফুটসলকেও উন্নত করতে চাইছে বাংলা ফুটবলের নিয়মক সংস্থা আইএফএ। পরিকল্পনা হিসেবে রাজ্যের ১০ জায়গায় ফুটসল অ্যাকাডেমি তৈরি হচ্ছে আইএফএর উদ্যোগে , যুক্ত থাকছেন বার্সেলোনার কোচও।

শহরের যুবভারতী স্টেডিয়ামে ১৭ নম্বর রাম্প, হাওড়া, নিউ আলিপুর, চিনার পার্ক (রাজারহাট), গড়িয়া, মিন্টো পার্ক, বৈশাখী (সল্টলেক), তপসিয়া, দমদম এবং নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া ৩-এ এই অ্যাকাডেমিগুলি গড়ে তোলা হবে।

আইএফএ-র ফুটসল অ্যাকাডেমিগুলিতে মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে থাকবে পাঁচ বারের উয়েফা ফুটসল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী এবং বার্সেলোনার ফুটসল দলের কোচ মিগুয়েল আন্দ্রেস। এ ছাড়া, বিদেশের আরও বিভিন্ন ক্লাবের খ্যাতনামী কোচেরা এই অ্যাকাডেমিগুলির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।

এদিন মধ্য কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে এই বিষয়ে হয়ে গেল এক সাংবাদিক সম্মেলন। হাজির ছিলেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত । আই লিগের সি ই ও সুনন্দ ধর। এছাড়া ফুটসল কমিটির টেকনিকাল হেড অপরূপ চক্রবর্তী।আইএফএ ফুটবসলের চেয়ারম্যান রাজদীপ নন্দী এছাড়া ফুটসলের টিডি হলেন বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্য। এআইএফএফ-র সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাগুলি এতদিন ফুটসলকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু আইএফএ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। আশা করি আগামিদিনে ফুটসলে বাংলা দেশের অন্যতম সেরা হয়ে উঠবে।” আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বলেন, “তৃণমূল স্তরে ফুটসলকে ছড়িয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগ খুবই ভাল। জয়দীপের দূরদর্শিতা বাংলার ফুটসলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বার্সেলোনা থেক মিগুয়েল বলেন, “সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা এবং আইএফএ-র মতো রাজ্য সংস্থাকে সব রকম সাহায্য করার জন্য আমি তৈরি। বাংলায় অনেক প্রতিভা রয়েছে এবং আমার বিশ্বাস, আইএফএ ফুটসল অ্যাকাডেমি ফুটবলের উন্নতিতেও অনেক সাহায্য করবে।” ফুটসল কমিটির টেকনিকাল হেড অপরূপ চক্রবর্তী জানান, “মনে রাখতে হবে পর্তুগাল কিন্তু এই ফুটসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিদেশের ফুটবলের আগে ফুটসল প্রাধান্য পায়। আইএফএর সাহায্যতে বাংলার ফুটসলকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি।”আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, “মনে রাখতে হবে মুম্বইতে এই ফুটসল প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলের তারকা রোনাল্ডনিহোর মত ফুটবলার খেলে গেছে। আমরা গত দুই বছর ধরে পরিকল্পনা করেছিলাম রাজ্যে ফুটসল লিগ করার। কিন্ত করোনার জন্য করতে পারিনি। আশা করছি এই ক্যাম্পগুলোর থেকে ফুটসলে আরও প্রতিভা উঠে আসবে। বাংলায় ফুটবল ও ফুটসল একইসঙ্গে একই গতিতে চলবে।”