গোয়াতে জয়ী সবুজ মেরুন

অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, এনএফবিঃ

গোয়াতে জয় সবুজ মেরুনের। বেঙ্গালুরু এফসিকে ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথমবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হলো এটিকে মোহনবাগান। এদিন প্রথম থেকেই ম্যাচ হয় হাড্ডাহাড্ডি।লিস্টন কোলাসোর জায়গায় আশিক কুরুনিয়ানকে প্রথম থেকেই মাঠে নামান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আল্ট্রা ডিফেন্সিভ স্ট্র‌্যাটেজি নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। যদিও শুরুতেই ধাক্কা খায়। চোট পেয়ে উঠে যান দলের সেরা স্ট্রাইকার শিবাশক্তি। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন সুনীল ছেত্রী। ৬ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিলে এটিকে মোহনবাগানের সামনে। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে আশিক কুরুনিয়ান বল বাড়িয়েছিলেন। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। পা ছোঁয়ালেই গোল। কিন্তু পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন পেত্রাতোস।১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। পেত্রাতোসের কর্ণার বল ফিস্ট করেন বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। উড়ন্ত বলে হেড করতে উঠেছিলেন আশিক কুরুনিয়ান ও রয় কৃষ্ণা। বল রয় কৃষ্ণার হাতে লাগে। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু এফসি। বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে এটিকে মোহনবাগান রক্ষণে। দু’‌দুবার বক্সে হানা দিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। কিন্তু প্রীতম কোটালের দৃঢ়তায় গোলমুখ খুলতে পারেননি। ২৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। জাভি হার্নান্ডেজের ফ্রিকিক গোলে ঢোকার মুখে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে কর্ণানের বিনিময়ে বাঁচান এটিকে মোহনাবান গোলকিপার বিশাল কাইথ।৩৫ মিনিটে পেনাল্টি পেতে পারত বেঙ্গালুরু এফসি।
বক্সের ভেতর বল ছাড়া রয় কৃষ্ণাকে লাথি মারেন প্রীতম কোটাল। বেঙ্গালুরু ফুটবলারদের পেনাল্টির আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি। ৪১ মিনিটে জাভি হার্নান্ডেজের আরও একটা ফ্রিকিক গোলে ঢোকার মুখে উড়ে গিয়ে কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচান বিশাল কাইথ। অবশেষে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু। বক্সের মধ্যে রয় কৃষ্ণাকে বল ছাড়া লাথি মারেন শুভাশিষ বোস। রেফারি পেনাল্টি নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান সুনীল ছেত্রী।

প্রথমার্ধে ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটে লিস্টন শট মারেন গুরপ্রীত সেভ দেন তারপরে ফলো আপ বল গোলে রাখতে পারলেন না পেত্রাতোস। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে রয় কৃষ্ণ সেই প্রাক্তনীই এসে আঘাত করলেন মোহনবাগানকে। বেঙ্গালুরুর কর্নার ভেসে এসেছিল মোহনবাগান বক্সে। এক ডিফেন্ডার এবং গোলকিপারকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ালেন কৃষ্ণ। পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করে কোনও উৎসব করলেন না তিনি। তবে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। বক্সের বাইরে কিয়ানকে ফাউল করেছিলেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলার। কিন্তু রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেত্রাতোস কোনও ভুল করেননি। নির্ধারিত সময় অবধি ম্যাচের ফল ছিল ২-২। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে সেখানেও কোনো গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে দিমিত্রির সুন্দর পাসেও নিশ্চিত হেড থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মনবীর সিং। কোস্তা, দিমিত্রি হ্যাটট্রিক পেনাল্টি থেকে রয়, কোলাসো। বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি মিস করেন ক্লাইন্ট ও ব্রুনো রামিরেজ আর পাবলো পেরেজ।

নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।