স্থানীয়

নবাব নগরী তে জোর লড়াই তৃণমূলের, মানতে নারাজ বিরোধীরা

মনোদীপ ব্যানার্জী, মুর্শিদাবাদঃ

পুরভোটের উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। আসন্ন ২৭ ফেব্রুয়ারী ১০৮ টি পুরসভার মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ পুরসভাও। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের আসন হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। জয়ী হয়েছেন বিজেপির গৌরী শংকর ঘোষ। এবারের পুরভোটে কী হবে সে প্রশ্নই উঁকি মারছে নবাব নগরীর অলিগলিতে।

২০১৫ সালের পুরভোট নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ পৌরসভার ১৬ টি আসনের মধ্যে ১১ টি তেই জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। যদিও ২০১৬ সালে পুরসভার একাধিক জনপ্রতিনিধিসহ পুরপিতা বিপ্লব চক্রবর্তী দল পরিবর্তন করে শাসক শিবিরে নাম লেখান। মুর্শিদাবাদ বিধানসভার তৎকালীন কংগ্রেসের বিধায়ক শাওনি সিংহ রায় দল পরিবর্তন করে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি, পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী গৌরী শঙ্কর ঘোষের কাছে। তবে এবারের পুরভোটে ফের নিজেদের এগিয়ে রাখছেন শাসক দলের নেতা নেত্রীরা।

আরও পড়ুনঃ পুরভোটের ময়দানে নবাব পুত্রেরা

জানা যায় গত বিধানসভা নির্বাচনে ১২ টি আসনে এগিয়েছিল বিজেপি। ফলে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। বিজেপি নেতা সৌমেন মন্ডলের দাবি, “আমরা আগামী পুরভোটে ১৪ টি আসন জিততে চলেছি।” লাগাম ছাড়া দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এর অভিযোগ আনছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কংগ্রেস দল থেকে তারা তৃণমূলে গিয়েছেন, তাই তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই বলেও দাবি করেন সৌমেন বাবু।

শাসক দল তৃণমূলের প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ। ২০১৫ র পুরভোটে আমরাই জিতেছিলাম এবারও আমরাই জিতবো – দাবি টাউন কংগ্রেস সভাপতি অর্ণব রায়ের। তিনি জানান, “আগামীতে আমরা শহরের সেমিনার হল কে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র হিসেবে মানুষের কাছে নিয়ে আসতে চাই। পর্যটকদের সুবিধার্থে পুরসভা থেকে প্যাকেজ ট্যুর তৈরি করতে চাই।”

মুর্শিদাবাদ শহর জুড়ে ব্যানার-ফেস্টুন দেওয়াল লিখন সবেতেই এগিয়ে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে প্রাক্তন পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, “জয় সময়ের অপেক্ষা।” যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে জয় হবে জোড়া ফুলের আশাবাদী মুর্শিদাবাদ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব চক্রবর্তী। রাজ্যের চারটি পুর – নিগমের ফলের পর মুর্শিদাবাদ পুরসভার ফল কেমন হয় তা এখন সময়ের অপেক্ষা।