ক্রীড়া

[:en]ইডেনে লঙ্কাবধ করে সিরিজ জয় ভারতের[:]

[:en]

এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ

কুলদীপ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজের দুরন্ত পারফরম্যান্সে জয়ের ভিতটা আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কা লড়াইটা করলেও, শেষপর্যন্ত লোকেশ রাহুলের অর্ধশতরানে ভর করে ইডেন গার্ডেন্সেই সিরিজ জয় সম্পূর্ণ ভারতের। ইডেন গার্ডেন্সে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া।

কঠিন পরিস্থিতিতে লোকেশ রাহুলের ৬৪ রানের ইনিংসেই সাফল্য এল ভারতীয় দলের। ২-০ এগিয়ে সিরিজ ইতিমধ্যেই পটেকে পুড়ে ফেলেছে ভারত। এখন ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে রোহিত শর্মারা হোয়াইট ওয়াশ করে পারে কিনা সেটাই দেখার।

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিরাট ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ভারতীয় দল। ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ছিল শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচেই ভারতীয় দলে একটি পরিবর্তন করা গয়েছিল। চোট পাওয়া যুজবেন্দ্র চাহালের পরিবর্তে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে এসেছিলেন কুলদীপ যাদব। আর তাতেই যেন বাজিমাত। বল হাতে কুলদীপ যাদবের তিন উইকেট এবং মহম্মদ সিরাজের পারফরম্যান্সটাই ভারতীয় দলের জয়ের রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিল। ব্যাট হাতে রোহিত, বিরাটরা এদিন ব্যর্থ হলেও, লোকেশ রাহুলের হাত ধরেই সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারতীয় দল।

টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। ভারতের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে বড় রানের লক্ষ নিয়েই নেমেছিল তারা। যদিও শ্রীলঙ্কা শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। আভিস্কা ফার্নান্দোকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই জায়গা থেকে বড় পার্টনারশিপ গড়ার কাজটা শুরু করেছিলেন নুয়ানান্দো ফার্নান্ডো এবং কুশল মেন্ডিস। সেই সময়ই মেন্ডিসকে সাজঘরে ফিরিয়ে পার্টনারশিপ ভাঙার কাজটা নিখুঁতভাবে করেন কুলদীপ যাদব। এদিন শ্রীলঙ্কার সেরা তিন ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই। কুশল মেন্ডিসের পর আসালঙ্কা এবং দাসুন শনাকার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কুলদীপ যাদবয এছড়া তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজও। আর তাতেই শ্রীলঙ্কার বড় রানের আশা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল। ২১৫ রানেই থেমে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

ভারতের সামনে তখন সহজ লক্ষ্য। শুরু থেকে ব্যাট হাতে বেশ আক্রমণাত্মকও ছিলেন রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। কিন্তু রোহিত শর্মার উইকেট পড়ার সঙ্গেই যেন বদলে যায় ম্যাচের রং। পরপর শুভমন গিল এবং বিরাট কোহলিও সাজঘরে ফিরে যান এদিন। এরপরই শ্রেয়স আইয়ার ও লোকেশ রাহুল পার্টনারশিপ গড়ার কাজটা শুরু করেন। কিন্তু শ্রেয়স আইয়ারও ২৮ রানেই থেমে যান। এ দিন অবশ্য মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন লোকেশ রাহুল। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপটাই ভারতীয় দলের জয়ের আশাটা পাকা করে দিয়ে গিয়েছিল। যদিও হার্দিক ফেরার পর থেকে একা হাতেই ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াইটা শুরু করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজ ইডেনে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সিরিজও জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। ৬৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন লোকেশ রাহুল।

[:]