৫০টা ডাক্তারকে ঘরে ঢোকাতে ২ মিনিট লাগবে! ফের বেলাগাম হুমায়ূন

এনএফবি মুর্শিদাবাদঃ

আবারো বিতর্কিত মন্তব্য ভতরপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও তাদের নিয়ে মন্তব্য করার বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সতর্ক করেছিলেন, যেন কোনো নেতিবাচক বা বিতর্কিত মন্তব্য করা না হয়। তবে, বিধায়ক হুমায়ূন কবীর সেই নির্দেশ অমান্য করে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন।

শনিবার তিনি বলেন, ‘ওদের গণতন্ত্রে ওরা যদি এত অধিকার পেয়ে যান, সাড়ে সাত হাজার ডাক্তার যদি এত ক্ষমতাবান হয়, তাহলে আমি বলেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙাব না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেব না, তৃণমূলের কোনও পতাকা নেব না। প্রয়োজন যেদিন দেখা দেবে, সেদিন হুমায়ূন কবীর একার ক্ষমতায় ২ ঘণ্টার নোটিসে ১০ হাজার লোক নিয়ে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে দেবাংশু ঘোষের মতো ডাক্তারের সঙ্গে বোঝাপড়া করার ক্ষমতা রাখেন। শুধু কথা বলার জন্য আমার নামে যদি এফআইআর করা যায়, তাহলে বোঝাপড়া করার ক্ষমতাও আমার আছে।’

হুমায়ুন কবীর এদিন আরও বলেন, ‘ওরা যত খুশি মিছিল করুক। এক হাজার লোক নিয়ে মিছিল করলে, আমি পাঁচ হাজার লোক নিয়ে মিছিল করব। ওদের মেডিক্যাল কলেজ ঘিরে রেখে দেব, মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও করে রাখব। নেত্রী নিষেধ করলেও শুনব না। আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করার সাহস কোথা থেকে পায়? এরা ডাক্তার? ৫০ জন ডাক্তারকে ঘরে ঢোকাতে ২ মিনিট লাগবে। আর প্রশাসনও আমার বিরুদ্ধে কী করতে পারে, সেটা দেখব।আমার আর কিছু পাওয়ার নেই।

এই বক্তব্যে দলীয় নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট হলেও, হুমায়ূন কবীরের ভাষা ও অবস্থান পাল্টাতে দেখা যাচ্ছে না। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তাঁকে এফআইআর করা হলেও তিনি থামবেন না এবং প্রয়োজনে কারাগার থেকেও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তাঁর এই মন্তব্য দল এবং প্রশাসনের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *