সবুজ – মেরুন শাড়িতে মোহনবাগান অনুষ্ঠানে মমতা
এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ
বুধবার বিকেলে মোহনবাগান তাঁবু উদ্বোধনে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে তিনি জানালেন, মোহনবাগানের আবেগ কোনওদিনও ভোলা যাবে না। যতই মোবাইলের জমানা আসুক না কেন, এই আবেগ কেউ ভুলতে পারবেন না।
সবুজ মেরুন শাড়িতেই মোহনবাগান অনুষ্ঠানে প্রবেশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ক্লাবে এসেই তাঁবু উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন বাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত, সহ সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সহ সভাপতি কুনাল ঘোষ ফুটবল সচিব স্বপন বন্দোপাধ্যায়, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি , সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচাৰ্য, সুব্রত ভট্টাচাৰ্য সহ অনেকেই।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম ক্লাবে পা রাখলেন মমতা ব্যানার্জী। বাগানের তাঁবুর সমস্ত অর্থই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে আগেই জানিয়েছেন সচিব দেবাশীষ দত্ত। এদিন মঞ্চে উঠে মোহনবাগান সচিব জানান, “আমি উনাকে মুখ্যমন্ত্রী না, নিজের দিদি হিসেবে দেখি। আমাদের ক্লাবের ফ্লাড লাইট থেকে তাঁবু সংস্কার সবকিছুতে উনি সাহায্য করেছে। যখন উনি আমাকে সময় দিয়েছিলেন, তাঁবু সংস্কার করার ভয় পেয়েছিলাম। আদৌ আসবেন তো! কারণ উনি এতো ব্যস্ত মানুষ। কিন্তু দিদি কথা রাখলেন। নেতাজি ইনডোরে ক্লাবের প্রোগ্রামে এসেছিলেন। কিন্তু ক্লাবে আসেন নি, এমন ক্রীড়াপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রী আগে দেখিনি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,”কত মানুষ হেঁটেছেন কত মানুষ হেসেছে কত কেঁদেছে কিন্তু মোহনবাগান ক্লাবের আবেগ কেউ ভুলতে পারেনি যতই মোবাইল আসুক আবেগ ভোলা যাবে না। আজকে সবুজ মেরুন শাড়ি পরলাম মোহনবাগানের অনুষ্ঠান বলে। আমার কাছে লাল হলুদ শাড়ি নেই। ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে লাল হলুদ শাড়ি বানিয়ে নেব। মোহনবাগানের অনুষ্ঠান বললে আমার মায়ের কথা মনে পরে। কারণ, পেলে যখন খেলতে এসেছিলো মা কালীঘাটে পুজো দেয়। আমার দাদা ইস্টবেঙ্গলে, আমার ভাই মোহনবাগানে, মহামেডানে কেউ নেই। আমি আছি। ছোট ছোট ক্লাবের কেউ নেই, আমি আছি।”
এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মোহনবাগানের তুলনা ওরা নিজেরাই। এই মাটি সোনার চেয়েও বেশি দামি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান বাংলার গর্ব। ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, রসগোল্লা বাংলার গর্ব। তিনটে ক্লাবকে সম্মান দিলাম বলে অনেক খারাপ কথা বলেছিল। কিন্তু আমি এবার ঠিক করলাম যে প্রতিষ্ঠানকে দেবো বঙ্গবিভূষণ তাই দিলাম ওদের।”
এদিন মোহনবাগান ক্লাবের থেকে একাধিক পুরস্কার দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁকে সবুজ মেরুন উত্তরীয় পরিয়ে দেন মোহনবাগানের তরফে সুব্রত ভট্টাচাৰ্য।