ক্রীড়া

কেকেআর দলে বাংলা ক্রিকেটারদের বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন মনোজ

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

এবার কেকেআর দলে বাংলার ক্রিকেটারদের সুযোগ না পাওয়ার বিষয়ে সরব বাংলা দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। এদিন মনোজ জানালেন,” কেকেআর দলে বাংলা ক্রিকেটাররা সুযোগ পায় না। এই বিষয়ে অবশ্যই আমি একটি পরিবর্তন দেখতে চাই। আমি সবসময় বলি যে প্রচুর খেলোয়াড় থাকা উচিত (কেকেআরে বাংলার)। তাই আমার একটাই প্রশ্ন, বাংলার খেলোয়াড়রা যদি প্লেয়িং ইলেভেনে নিয়মিত অন্য দলের হয়ে খেলতে পারে, তাহলে তারা এখানে খেলতে পারবে না কেন?কেকেআর ম্যানেজমেন্ট কেন নীরব থাকে বাংলার ক্রিকেটারদের নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয় আমার মাথায় আসে না।”

মনোজ আরো বলেন, “স্থানীয় খেলোয়াড়রা স্টেডিয়ামে তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ভক্তরা তাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের সমর্থন করতে চাইবে। তারা সবসময় তাদের দলকে সমর্থন করবে কিন্তু যখন তারা দেখবে যে স্কোয়াডে একজন স্থানীয় খেলোয়াড় আছে, তারা সেই আবেগ তাদের সাথে নিয়ে যাবে। আমি আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে শাহরুখ খানের সঙ্গে কথা বলতে বলব। তিনি পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এর পরে কী হয় তা আমরা দেখব।”
অতীতে বাংলা থেকে মনোজ তিওয়ারি ছাড়াও, প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় , মহম্মদ শামি, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, এবং ঋদ্ধিমান সাহা, অশোক দিন্দার মতো বাঙালি ক্রিকেটার কেকেআর জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন। ২০১২ সালে মনোজের উইনিং শটেই কেকেআর প্রথমবার ট্রফি তোলে আইপিএলে। এরপরে গত কয়েক বছর দিনের পর দিন ভিন রাজ্য থেকে রিঙ্কু সিংদের মতো ক্রিকেটারদের নিলেও কেকেআর ক্রিকেটারদের দিকে ফিরে তাকায়নি নাইট ফ্রাঞ্চাইজি।
মনোজের নাম নিলামে থাকলেও তাকে নেয়নি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। কেকেআর ছাড়াও দিল্লী ডেয়ারডেভিলস, পুনে সুপার জায়ান্টস, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের হয়েও খেলেছেন মনোজ। মন্ত্রী হওয়ার ফলে ভালো অনুশীলন না হওয়া সত্ত্বেও চলতি রঞ্জি ট্রফিতে ব্যাট হাতে ভালোই পারফরমেন্স করেন এই সিনিয়র ক্রিকেটার। শাহবাজ আহমেদ, আকাশদীপ সিংরা ভালো পারফরমেন্স করেন তাঁদের ফ্রাঞ্চাইজিদের হয়ে। ঋদ্ধিমান সাহা আর মহম্মদ শামি তো গুজরাট টাইটন্সকে ২০২২ আইপিএল জেতাতে বড়ো ভূমিকা নেন। কিছুদিন আগে ঋদ্ধিমান সাহাও কলকাতা দলে বাংলার ক্রিকেটারদের না নেওয়া নিয়ে সরব হন। তিনি জানান, কেকেআর ম্যানেজমেন্ট মনেই করে না যে বাংলার ক্রিকেটাররা ক্রিকেট খেলতে পারে।