জেলা

হিলি- তুরা করিডর চালুর দাবি সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের

এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

হিলি- তুরা করিডর দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সূদুর বাংলাদেশে গেলেন সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা। চলতি মাসে বাংলাদেশের অধিবেশনে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে সেখানকার সাংসদ সিবলি সাদিকের কাছে চিঠি দিলেন হিলি-তুরা করিডর কমিটির আহ্বায়ক নব কুমার দাস সহ তিনজন ভারতীয় প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের প্রতিনধিরাও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে মেঘালয়ে পৌঁছাতে একটি করিডর চালুর দাবি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হিলি-তুরা কমিটি। খুব অল্প সময়ে মেঘালয় সহ উত্তরপূর্বের এলাকাগুলিতে পৌঁছাতে এই দাবি চলে আসছে। ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি অনেকটায় এগিয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এনিয়ে রেলপথ ও সড়ক যোগাযোগ তৈরিতে রেলওয়ে কাটিহার ডিভিশনের পক্ষ থেকে প্রজেক্ট জমা করা হয়েছে রেলমন্ত্রকে। কিন্ত বাংলাদেশের অনুমোদন না মিললে টাকা বরাদ্দ করে লাভ হবেনা কিছু। সেকারণে বাংলাদেশ অধিবেশন শুরুর আগে সেখানে গিয়ে সেখানকার সাংসদকে এবিষয় তুলে ধরেন নব বাবু ও তার সঙ্গীরা।

নিজস্ব চিত্র

উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ রাজ্যের বেশ কিছু জেলা থেকে সড়কপথে মেঘালয়ের তুরা পৌঁছতে সময় লাগে দু’দিন৷ অথচ হিলি থেকে বাংলাদেশের গাইবান্ধা হয়ে এই করিডর চালু হলে তুরা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র দু’ঘণ্টা৷ করিডরের দাবি নিয়ে এজেলায় আন্দোলন শুরু হয়েছে ২০১২ সালে। জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডরের আহ্বায়ক নবকুমার দাসের নেতৃত্বে সেসময় থেকে এখনও কেন্দ্র সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা পাশাপাশি দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ এবং মেঘালয় সরকারের কাছে করিডরের দাবিতে বহুবার আলোচনা করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে করিডর চালু হলে যোগাযোগ তো বটেই, দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে কৃষি, খনিজ ও অনান্য সামগ্রী আদান প্রদান সহজ হয়ে অর্থনিতী উন্নতি ঘটবে। সেইসঙ্গে সংস্কৃতি ও পরিবেশের মেলবন্ধন ঘটবে।