এনএফবি, মালদাঃ
বিভিন্ন আচার তৈরির জন্য লবণ দিয়ে জাঁক দেওয়া আম রপ্তানি করা হবে বিভিন্ন রাজ্যে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মালদা হর্টিকালচার দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে মালদা জেলার আম চাষি এবং ব্যবসায়ীরা আরও লাভবান হবেন। শুক্রবার মালদা শহরের গৌড় এলাকায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা।
বরাবরই মালদা জেলা আমের জন্য জগৎ বিখ্যাত। তাই আমের মরশুমে মালদা জেলার বাগান গুলিতে একদিকে যেমন পাকা আমের গদি বসেছে, অপরদিকে আমকে লবণ দিয়ে জাঁক দেওয়ার জন্য অস্থায়ী চৌবাচ্চা তৈরি হয়েছে বাগানের মধ্যে। ঝড়ে পড়ে যাওয়া আম থেকে শুরু করে আম পাড়ার সময় পড়ে ফেটে যাওয়া নষ্ট আম এই চৌবাচ্চার মধ্যে জমা করা হচ্ছে। প্রথমে আমকে ছোট ছোট করে কাটা হয়। তারপর সেগুলি চৌবাচ্চার মধ্যে লবণ দিয়ে রেখে দেওয়া হচ্ছে। ৭ থেকে কুড়ি দিন চৌবাচ্চার মধ্যে লবণের সঙ্গে আম রেখে দিলেই সেগুলি আচার তৈরির জন্য পরিপক্ক হয়। আর ওই আম বস্তা ভর্তি করে ভিন রাজ্যে রফতানি করা হচ্ছে।
প্রতি সপ্তাহে মালদা জেলার বিভিন্ন আমবাগান থেকে কয়েক মেট্রিক টন আম ভিন রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। মূলত উত্তরপ্রদেশ দিল্লি মধ্যপ্রদেশ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে এই আম পাঠানো হয়। এই বিষয়ে মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, এবছর বৃষ্টি না থাকার কারণে এবং অতিরিক্ত রোদের জন্য গাছ থেকে আম ঝরে পড়ছে। কিছু ব্যবসায়ী সেই আম গুলিকে একত্রিত করে আচার ফ্যাক্টরিতে রপ্তানি করছে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের বাগানেই আমগুলিকে ছোট ছোট করে কেটে একটি চৌবাচ্চার মধ্যে লবণ দিয়ে জাগ দিয়ে রাখছে। এরপর আচার তৈরির জন্য উপযুক্ত সেই আম রপ্তানি করা হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। তবে আমরা ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হর্টিকালচার দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে আমরা কথা বলছি যাতে করে এই পদ্ধতিটিকে আরও ভালোভাবে অবলম্বন করে আরও বেশি করে আচার তৈরীর জন্য আম বিভিন্ন রাজ্যে রপ্তানি করা যায়। এর ফলে মালদা জেলার আম চাষি এবং ব্যবসায়ীরা আরও বেশি করে লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন উজ্জ্বল বাবু।