জেলা

চুইঝাল উৎপাদনে নয়া উদ্যোগ দক্ষিণ দিনাজপুরে

এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

চুইঝাল নামটার সাথে হয়তো আমরা অনেকেই অপরিচিত। কিন্তু আমরা যদি আজ ঢাকা, খুলনা, রংপুর কিংবা বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা হতাম তাহলে আমাদের কাছে অতি পরিচিত নাম হতো চুইঝাল। কিংবা মায়ানমারে থাকলেও চুইঝাল নামের সাথে আমরা পরিচিত থাকতাম নিঃসন্দেহে । রবীন্দ্র প্রেমিক অনেকেই হয়তো এই চুইঝাল নামটি শুনে থাকবেন। বিশ্বের তাবড় তাবড় বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট গুলোতে চুইঝালের এখন ব্যাপক চাহিদা ৷ আর সেই চুইঝাল উৎপাদনের এবার উদ্যোগী হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উদ্যানপালন বিভাগ।

লঙ্কা কিংবা গোলমরিচের ঝালের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই চুইঝাল। মূলত বাংলাদেশের খুলনা এলাকায় এই চুইঝালের চাহিদা ব্যাপক। ইদানিংকালে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চুইঝালের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক হারে । আর সেই চাহিদাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উদ্যানপালন বিভাগ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের উজাল এলাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন বিভাগ আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদর্শন ক্ষেত্র তৈরি করবার উদ্যোগ নিয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে এই কাজ শুরু করতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন বিভাগ। সারা বিশ্ব জুড়েই বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট গুলিতে চুইঝাল দিয়ে তৈরি মাংসের চাহিদা প্রচুর। চুইঝাল আড়াই থেকে চার হাজার টাকা কিলো দরে বিক্রি হয় বলে জানা গেছে ৷ তাই সেই বাজার ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। চুইঝালের কান্ড ও গোড়া মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যার নিজস্ব স্বাদ ও গন্ধ এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঝাল খেতে পারতেন না তাই তিনি তার খাবারে চুইঝালের ঝাল ব্যবহার করা হতো । লতার মত গাছটি চাষ করতে বিশেষ কিছু কসরত করতে হয় না। অল্প শ্রমেই এই গাছের চাষ হয়। জানা যায় গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামন্দা দূর করতে এই চুইঝালের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ, মানবিক ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন, শারীরিক দুর্বলতা সহ বিভিন্ন ঔষধিগুণ রয়েছে এই চুইঝালের। তাই চুইঝাল ব্যাপক হারে চাষের লক্ষ্যে প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উদ্যানপালন বিভাগ। সেই লক্ষ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ব্লকের এক কৃষককে ৩০ টি চুইঝালের চারা তুলে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন বিভাগের পক্ষ থেকে। কম শ্রমে কৃষকদের বেশি লাভ করানোর উদ্দেশ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন বিভাগের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।