নেই স্থায়ী শিক্ষক, স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধের সিদ্ধান্ত

এনএফবি, আলিপুরদুয়ারঃ

স্কুলে কোনো স্থায়ী শিক্ষক নেই। নেই কোনো শিক্ষাকর্মী। ১২ বছর ধরে অতিথি ও আংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে ধুকে ধুকে চললেও অবশেষে পড়ুয়ার অভাবে পঠন পাঠন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওগাঁও দুই নম্বর বালিকা জুনিয়র হাই স্কুল।

জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে দক্ষিণ দেওগাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বালিকা বিদ্যালয়টি। দীর্ঘ বারো বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও আজ অবধি মেলেনি স্থায়ী শিক্ষকের দেখা। ফলে ধীরে ধীরে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমান শিক্ষাবর্ষে মোট পড়ুয়ার সংখ্যায় তিনে দাড়িয়েছে। ফলে অভিভাবকেরা তাদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে চলে যাওয়ায় চলতি শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শূন্যে। এরফলে পঠন পাঠন আপাতত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এতদিন একজন অতিথি শিক্ষক, স্থানীয় তিনজন শিক্ষিত যুবতীকে নিয়ে ধুকে ধুকে চলছিল স্কুলটি। বর্তমানে পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া সংখ্যা শূন্য। সপ্তম শ্রেণী থেকে তিনজন অষ্টম শ্রেণীতে এবং অষ্টম শ্রেণী থেকে ১২ জন নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। নবম শ্রেণীর পড়ুয়ারা অন্যত্র স্থানান্তর হওয়ায় এখন মোট পড়ুয়ার সংখ্যা তিন। সেই তিনজনের অভিভাবক তাদের নিয়ে অন্যত্র চলে যান।

অভিভাবকদের দাবি, স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয়ে ছেলেমেয়েদের দিতে ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে অবশেষে শিক্ষক এবং পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে গেলো স্কুলটি।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, রাজনৈতিক চক্রান্তের পাল্টা অভিযোগ- অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রীর – NF Bangla Private Limited (newsfrontbangla.com)

নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।