ক্রীড়া

কলকাতা না, সেপ্টেম্বর মাসে কেরালাতে ভারতীয় দলের প্রস্তুতি শিবির

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

খারাপ খবর কলকাতার ফুটবল প্রেমীদের জন্য। গত তিন মাস ধরে ২০২৩ এশিয়া কাপ কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ খেলতে কলকাতায় শিবির করে ভারতীয় ফুটবল দল। ভারতের তিনটে ম্যাচেই ৩৫ হাজারের ওপর দর্শক হয়। শোনা যাচ্ছিলো ভারতীয় দল যুবভারতীর দর্শকে মুগ্ধ সেই কারণে হয়ত আগামী সেপ্টেম্বরে জাতীয় শিবির কলকাতায় হবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢাললেন ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ। এদিন তিনি জানান, ম্যাচ কেরালায় হবে। তিনি বলেন, ” দক্ষিণ ভারতেও ফুটবল ছড়িয়ে দিতে হবে এবং সেখানকার সমর্থকদের ভালবাসা এবং সমর্থন পেতে হবে। কলকাতার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে খুব ভাল। খুব তাড়াতাড়ি ওদের সঙ্গে দেখা হবে। এ বার কেরলের মানুষের সমর্থন দেখানোর পালা।’’

প্রসঙ্গত গত সন্তোষ ট্রফির প্রত্যেক ম্যাচই হাউসফুল হয়। ম্যাচ শুরুর ২ ঘন্টা আগের থেকে মাঠ এবং মাঠের বাইরে কেরালার দর্শকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত। বাংলাকে হারিয়ে সন্তোষ চ্যাম্পিয়ন হয় কেরালাএশিয়ান কাপ। ২০২৩ -এর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর এ বার ভারতীয় দলের সামনে এশিয়ার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার পালা। ঘরের মাঠের সুবিধাকে ভরপুর কাজে লাগিয়ে ক্রমতালিকায় ভারতের চেয়ে নীচে থাকা তিন দল কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান ও হংকংকে হারিয়ে গত মঙ্গলবারই বাছাই পর্বের গণ্ডী পেরিয়েছে ভারত।

এশিয়ান কাপ ২০২৩ যদিও এখনও এক বছর পরে। চিন আয়োজন করতে পারবে না জানিয়ে দেওয়ায় তা আরও দেরিতে হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। মূলপর্বের প্রস্তুতির জন্য এখনও এক বছর সময় রয়েছে সুনীল ছেত্রীদের হাতে। এই এক বছরে দলকে কী ভাবে আরও শক্তসমর্থ করে তোলা যায়, এখন সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

১৯৬৪-তে চারদলীয় এশিয়ান কাপে রানার্স হওয়ার পর ১৯৮৪ থেকে তিনবার ভারত এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেললেও কোনও বারেই গ্রুপ পর্বের গণ্ডী পেরোতে পারেনি। ১৯৮৪-তে পাঁচ দলের গ্রুপে পঞ্চম, ২০১১-য় চার দলের গ্রুপে চতুর্থ ও ২০১৯-এও চার দললের গ্রুপে চতুর্থ স্থান পায় ভারত। এই তিন বারে সব মিলিয়ে একটি ম্যাচ জেতে জাতীয় দল। গতবার তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-১ জয়ই এশিয়ান কাপ মূলপর্বে ভারতের একমাত্র সাফল্য।

কিন্তু এ বার যে দাপট নিয়ে ভারত বাছাই পর্বের গণ্ডী পেরিয়েছে, তার পরে সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছর ভারতকে নক আউট পর্বে দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অবশ্য এই এক বছরে অনেক যদি-কিন্তুর সমাধান করতে হবে ইগর স্টিমাচের দলকে। কেমন গ্রুপে পড়বে ভারত, ওই সময় ফুটবলারদের শারীরিক অবস্থা ও ফর্ম কেমন থাকবে, এ সবের উপরও নির্ভর করবে এশীয় স্তরে ভারতের সম্ভাবনা।