দেশ

ইচ্ছার বিরুদ্ধে টিকাকরণ নয়, শীর্ষ আদালতে জানাল সরকার

এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ

ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কাউকেই টিকা দেওয়া হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টে করোনা টিকাদান নিয়ে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র হলফনামায় জানিয়েছে।

রবিবার দেশে টিকাদান শুরু বর্ষপূর্তিতে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, টিকা নিতে বিনীতভাবে ভারত সরকার এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দ্বারা আবেদন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে জোর পূর্বক টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের। তবে করোনা এড়াতে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার বলে উল্লেখ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, “ চলমান মহামারি পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে করোনা টিকাকরণ বৃহত্তর জনসবার্থের বিষয়। খবরের কাগজ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যথাযথভাবে পরামর্শ দেওয়া এবং বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সব নাগরিকদের সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে টিকা নেওয়া উচিৎ। তবে কাউকেই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে টিকা দিতে বাধ্য করা যাবে না।“

একইসঙ্গে আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১১ জনুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত মোট ১৫২ কোটি ৯৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬০২ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। যোগ্য প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার ৯০.৮৪ শতাংশ তাদের করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং ৬১ শতাংশও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কয়েকটি রাজ্যের নাগরিকদের টিকাকরণ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সম্পূর্ণ টিকাকরণ না হয়ে থাকলে লোকাল ট্রেনে ওঠা যাবে না। কেরল সরকারও ঘোষণা করেছে, টিকার দুটি ডোজ নেওয়া না থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চিকিৎসার খরচ বহন করবে না রাজ্য সরকার। একাধিক রাজ্যের এই নির্দেশিকার জেরেই বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে কাজ করা ইলুরু ফাউন্ডেশনের তরফে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়ে। বিশেষভাবে সক্ষম সকলের টিকাকরণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার দাবি জানায় সংস্থাটি।

বিশেষভাবে সক্ষম টিকার শাংসাপত্র দেখানোর প্রসঙ্গটিও ওঠে। টিকাকরণের শাংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক নয় বলেই মনে সংস্থাটি। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনেও সেই প্রসঙ্গটি জানায় কেন্দ্র। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানায়, নাগরিকদের টিকার শাংসাপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক বলে কোনও নির্দেশ জারি করা হয়নি।