ক্রীড়া

স্বাধীনতা দিবসের দিনে, দু’বছর আগের ধোনির অবসরের শোকে ডুব দেয় গোটা দেশ

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

‘Main pal do pal ka syar hu pal do pal meri kahani hain’ – মহম্মদ রফির এই বিখ্যাত গানে ভিডিও বার্তা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ভারতের সর্বকালের সফলতম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দে মাতোয়ারা। ঠিক রাত ৮.০৫ মিনিটে ধোনির অবসরে মনে খারাপ গোটা দেশের। কোনোদিনও তিনি ধুমধাম করে কিছু করেন না। তার জীবনে কোনো কিছুই স্ক্রিপটেড নয় তাই তো ১০০ টেস্ট খেলার দোরগোড়ায় দাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে হটাৎ অবসর নেন কাউকে না জানিয়েই। সাদা বলের ক্রিকেটেও তাই করলেন। ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল যেখানে ধোনির নিউজিল্যান্ড ম্যাচে রান আউটের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বিশ্বকাপ থেকে একপ্রকার ছুটি হয়ে যায় । মনে করা হয় ধোনির মত দেশভক্তি খুব কম ক্রিকেটারের মধ্যেই আছে। তাই সোজা সেনাবাহীনিতে চলে যান। তাই তো মাহি নিজের অবসরের জন্য ১৫ আগস্ট দিনই বেছে নেন। আর তারপরেই বিষণ্ণতায় ডুব দেয় গোটা দেশ।

সোমবার অর্থাৎ ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে অবসরের দুই বছর কেটে গেল ধোনির। দেশের হয়ে ২০০৪-এ অভিষেক হয় মাহির। সেই সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ওডিআই ম্যাচে উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে দলে ছিলেন তিনি। এর পর থেকে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত দেশের হয়ে ৩৫০টি ওডিআই, ৯০টি টেস্ট এবং ৯৮টি টি২০ খেলেন তিনি। ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৫ হাজারের বেশি রান করেন তিনি। সেই সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসি সব ফরম্যাটের টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতে নেন তিনি।

অধিনায়কত্বে আসার পর সাময়িকভাবে কিছু দিনের জন্য ছন্দপতন হলেও এর পর থেকে বিশেষ নিষ্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়নি। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে চোখের পলক ফেলার আগেই স্টাম্পিং করার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় ভারতীয় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। একই সঙ্গে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে তাঁর ধূমধারাক্কা ব্যাটিংও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, উইকেট নেওয়ার জন্য বোলারদের দেওয়া বিশেষ পরামর্শ, অসংখ্যবার উইকেট নিতে সাহায্য করেছে বোলারদের। কিন্তু দেশের জার্সি পরে এই সবই শেষ হয়ে যায় ২০২০-তে। তবে অবসর নিয়েও ২০২১ সালে আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে চেন্নাই সুপার কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এখনও খেলে যাচ্ছেন সি এস কের জার্সির গায়ে। মাহি ভক্তদের একটাই আবদার যত বেশি দিন পারা যায় তারা যেন ধোনিকে হলুদ জার্সি গায়ে দেখেন।