অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
কতটা পথ পেরোলে পথিক হওয়া যায়! তারা জানে নিজেদের লড়াইয়ের গল্প। হারতে হারতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কে তারা জয় করেছে। তাঁদের লড়াই রূপ কথার গল্পর থেকে কম কিছু নয়।শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে যে দেশের জন্য কিছু করা যায়, আগামী প্রজন্ম কে প্রেরণা দেওয়া যায়, তারা প্রমান করেছে। ।আর তাই তো ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ১৯ জন প্যারা অ্যাথলেটিক কে সম্মান দেওয়া হল কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে। নীরজ চোপড়া যেমন জাভলিনে সোনা জিতে ভারতকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনই সুমিত আন্টিলও প্যারা জাভলিনে সোনা জিতে ইতিহাস তৈরী করেছেন। সেই সুমিতের, লড়াইও অনেক কঠিন ছিল। সুমিত বলেন, “গাড়ি দুর্ঘটনায় প্যারা অলিম্পিকে নামা দূরের কথা, হাঁটতে পারবো কিনা সংশয় ছিল। কিন্তু সেই সময় পরিবার ও বন্ধুদের মানসিক সাহায্য পেয়ে এত দূরে এলাম। কখনও নিজের ওপরে আস্থা হারালে চলবে না।” টোকিওতে হাই জাম্প ইভেন্টে ব্রঞ্জ জয়ী শারদ কুমার সরকারের প্রশংসা করে বলেন, “আমরা যখন পেলাম সবাই আমাদের নিয়ে ভাবা শুরু করল। পরিবর্তন আসছে। আমরাও মোটিভেট হচ্ছি। সরকার আমাদের জন্য ভাবতে শুরু করেছে। আর্থিক ভাবে আমরা স্বচ্ছন্দ হচ্ছি। টোকিও প্যারা অলিম্পিকে ভারতীয়দের খেলা ৬২ মিলিয়ন দর্শক দেখেছে। এটাই বদল।” ভাবিনা প্যাটেল টেবিল টেনিসে রুপো জয় করেছেন। তিনি বলেন, “করোনাতে অনেকের পরিস্থিতি খারাপ ছিল। কিন্তু আমার করোনার সময়ই ভালো প্রস্তুতি হয়েছিল সব থেকে। আমার স্বামীকে ধন্যবাদ। ও আমাকে টেবিল টেনিসের একটা বোর্ড কিনে দেয়। সেখানে প্রতিদিন দশ ঘন্টা করে অনুশীলন করতাম। আশা ছিল সোনার, পরেরবার নিশ্চই চেষ্টা করব।” টেবিল টেনিসে ব্রঞ্জ জয়ী উত্তরাখন্ডের বাঙালি ব্যাডমিন্টন ব্রঞ্জ জয়ী মনোজ সরকার যেমন বলছেন,”আমাদের লড়াই অনেকে জানেনা। তবে মোদী জী ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্যারা অলিম্পিকে এতটা সাহায্য করার জন্য। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, পরেরবার আমাদের এই পদক সংখ্যা টা আরও বাড়বে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা যখন হচ্ছে, তখন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি সাফাই দিলেন বাংলা থেকে অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকে কোনো প্রতিযোগি না থাকায়। মনোজ বলেন,”আমি সবে সাত মাস দায়িত্বে আছি। আমার সিনিয়র ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আছে। আমাদের সকলের কাজ একসঙ্গে ক্রিকেট ও ফুটবলের সঙ্গে বাংলার বাকি খেলার মান উন্নয়ন করার।” বাংলার প্যারা অলিম্পিকের মান উন্নয়ন করবে কিনা জানা নেই! তবে ভারতের প্যারা গেমস যে এগোচ্ছে সেটা বলাই বাহুল্য।”