রাজ্য

পার্থ’র দেহরক্ষীর আত্মীয়ও চাকরি করে স্কুল দফতরে , হতবাক গ্রামবাসী

এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের শ্বশুর বাড়ির চার জন চাকরি করে স্কুল দফতরে। দেহরক্ষী বিশ্বম্ভরের শ্বশুর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়ামাহাল গ্রামে। দেহরক্ষীর শ্বশুর বাড়ির একই পরিবারের চার জন চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। চাকরি পেয়েছেন দেহরক্ষী বিশ্বম্ভরের স্ত্রী, দুই শালিকা ও এক শালক। বিশ্বম্ভরের স্ত্রী অপর্না মণ্ডল দুই শালিকা অর্চনা মণ্ডল ও অঞ্জনা মণ্ডল। আর শালক অরূপ রতন ভৌমিক। এও অভিযোগ উঠেছে দেহরক্ষীর পরিবারের দশ জনের বেশি শিক্ষা দফতরে চাকরি পেয়েছেন আর তারা হলেন বিশ্বম্ভরের দুই ভাই বংশিলাল ও দেবগোপাল। যারা প্রাইমারিতে চাকরি পান। তালিকায় আছেন তাঁর মাসতুতো ভাই পূর্ন মণ্ডল, মাসতুতো বোন গায়ত্রী মণ্ডল, মেসো ভীষ্মদেব মণ্ডল, মাসতুতো জামাই সোমনাথ পণ্ডিত।

পরিতোষ ভৌমিক। নিজস্ব চিত্র

বিশ্বম্ভরের বাবা পান্নালাল মণ্ডল ছিলেন সিপিএম নেতা। হাইস্কুলের শিক্ষক পান্নালাল দিবাকরপুর পঞ্চায়েতের উপ প্রধানও ছিলেন। বিশ্বম্ভর তার শ্বশুর বাড়ি ময়নার গোড়ামাহাল গ্রামে প্রায়ই যেতেন। দেহরক্ষী বিশ্বম্ভরের শ্বশুর বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানেই সুবিশাল চোখ ধাঁধানো বাড়ি। এলাকার মানুষ জনের দাবি বিশ্বম্ভরের শালক অরূপ ভৌমিক শিক্ষায় একদম ভালো ছিলো না, হটাৎ করে স্কুলে চাকরি পেয়ে যাওয়ায় অবাক হন গ্রামের মানুষ জন। তবে এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর ক্রমশ সমস্ত বিষয় প্রকাশ্যে আসছে।

বিশ্বম্ভর মন্ডল

নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।