স্থানীয়

শীতলকুচি যুবক খুনের কিনারা করতে তৎপর পুলিশ

এনএফবি,কোচবিহারঃ

গতপরশু ভরসন্ধ্যায় শীতলকুচি থানার ফলনাপুর সাবেক ছিটমহল এলাকায় এক যুবককে ছুরি মেরে খুনের ঘটনা সামনে আসে। এই ফিল্মি কায়দায় খুনের পর্দা ফাঁস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মাথাভাঙ্গা এবং শীতলকুচি থানার পুলিশ।

জানা যায়, খলিসামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহা বাড়ি এলাকার ২৮ বছরের যুবক চিরঞ্জিত বর্মনকে একজন ঘাড়ের নীচে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ পরিবারের।
মৃত চিরঞ্জিত বর্মনের ভাই জগবন্ধু বর্মন বলেন, “ভরসন্ধ্যায় একটি পুকুর পাড়ে দুজন গল্প করছিলাম তখন হঠাৎ করে এক ব্যক্তি এসে আমাকে জানায় আমার ভাইয়ার অবস্থা খুব খারাপ। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যাই গিয়ে দেখি চিরঞ্জিতের মাথার নিচে কানের পাশে চাকু ঢুকিয়ে দিয়েছে রক্ত ঝরছে। তারপর মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই গাড়িতে দেখি ভাই নিস্তেজ হয়ে গেছে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে না। তবুও হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক ভাইকে দেখে জানিয়ে দেন চিরঞ্জিত আর নেই সে মারা গেছে।” এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। খবর পায় শীতলকুচি ও মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে মাথাভাঙ্গার সি আই এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে যায়।
অপরদিকে মাথাভাঙ্গা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিত মণ্ডল শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এরপর মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে।

নিজস্ব চিত্র

পুলিশ সূত্রের খবর এই ঘটনা যেই করুক না কেন নিশ্চিত অভিযুক্ত ধরা পড়বেই। স্থানীয় বাসিন্দা সহ অন্যান্যরা বলছেন পুলিশ যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে তদন্তে নেমেছে তাতে মনে করা হচ্ছে অভিযুক্ত খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে। কারণ এর আগে শীতলকুচি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তরা সবাই ধরা পড়েছে আর এই খুনের কিনারা পুলিশ করবে এবং অভিযুক্তরা ধরা পড়বে এটাই স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, চিরঞ্জিত খুনে অভিযুক্তকে খুঁজতে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত এই খুনের কিনারা হয়ে যাবে।