নদীর ভাঙ্গন রোধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব এলাকাবাসী

এনএফবি, মালদাঃ

ভাঙ্গন রোধে কাজের ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব মথুরাপুরের গ্রামবাসীরা। উল্লেখ্য গত ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে মথুরাপুর অঞ্চলের অন্তর্গত শংকরটোলা এলাকায় ফুলহর নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন হয়। তার জেরে তলিয়ে যায় মূল বাঁধের একটা বড় অংশ।

একইসাথে একটি বড় শিব মন্দির-সহ কয়েকটি বড় বড় গাছ ও বাড়ি। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায় এবং সংবাদমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, আপাতকালীন অবস্থায় রাজ্য সেচ দপ্তরের তরফ থেকে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধের কাজও করা হয়েছিল। তারপরে বেশ কয়েকবার ভাঙ্গন রোধের কাজ হলেও বালির বস্তা দিয়ে স্থায়ী সমাধান হয়নি এখনো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর গত বছর ফুলহার নদীর ভাঙ্গা বাঁধের অংশ জোড়া লাগানোর কাজে নামে সেচ দপ্তর। বালির বস্তা ফেলে বাধের এক প্রান্তর সঙ্গে আরেক প্রান্তকে জুড়ে দেওয়া হয়। তারপর আরও এক বছর কেটে যাওয়ার পর বর্তমানে ঠিকাদার সংস্থা কালো বালির বস্তা দিয়ে কোনরকমে ধাপা চাপা দিয়ে কাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। নদীর পার সঠিকভাবে বাধা হচ্ছে না।স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করছে দুর্নীতির শীর্ষে গিয়ে কাজ করছে ঠিকাদার সংস্থা। অর্ধেক বস্তায় নিম্নমানের ফুলহর নদীর মাটি দিয়ে কোনরকমে কাজ চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।
আসন্ন বর্ষায় যেভাবে নদীর জল বাড়বে তাতে আবার হতে পারে ভাঙ্গন। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মথুরাপুরবাসী।

নিজস্ব চিত্র

মানিকচক ব্লকের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মথুরাপুর। মথুরাপুরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ফুলহর নদী। বন্যায় মথুরাপুর অঞ্চল প্লাবিত হলে প্রায় মানিকচক এর সমস্ত জায়গায় জল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ফলে স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে এই এলাকায় স্থায়ীভাবে ভাঙ্গনরোধে কাজ করতে হবে প্রশাসনকে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় মানিকচক বিধানসভার বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র, কোনরকম নিম্নমানের কাজ করা না করার কথা জানিয়েছেন। ঠিকাদার সংস্থা যদি নিম্নমানের কাজ করে তবে প্রশাসন সঠিক ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার ভাঙ্গন রোধের জন্য কোন কাজ করছে না তাই রাজ্য সরকার এই বাঁধ নির্মাণ এবং নদীর পাড় বাঁধার জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে জানান তিনি। কাজ যাতে সঠিকভাবে হয় তা প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।
এই ঘটনায় বিজেপি এবং সিপিএম নেতৃত্ব দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।

নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।