ক্রীড়া

প্রকাশ্যে মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে, বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকেও বাদ পড়তে পারেন ঋদ্ধি

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ভারতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য ‘শাস্তি’ পেতে চলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। বিসিসিআই (Bcci) র বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন বাংলার উইকেট কিপার। প্রকাশ্যে সব কিছু বলার জন্যই তাঁকে শাস্তি দিতে চলেছে বোর্ড। এমনকি ঋদ্ধিকে তার মন্তব্যর ব্যাখ্যাও চাওয়া হবে। ব্যাখ্যাতে সন্তুষ্ট না হলে শাস্তি দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে আছেন ঋদ্ধিমান। যেখানে বছরে ৩ কোটি টাকা পান তিনি। কিন্তু বোর্ডের গ্রেড পে থেকে ঋদ্ধিকে ছাঁটাই করে দেওয়া মানে জাতীয় দলের দরজা চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে তাঁর জন্য। এদিন বোর্ডকর্তা অরুণ ধুমাল জানান, “আমরা ঋদ্ধির থেকে জিজ্ঞাসা করতে পারি যে ও কেন নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপার বাইরে বলল।” ২ মার্চ বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তির কথা জানা যাবে। একইসঙ্গে বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে কোনো ক্রিকেটারের দল নির্বাচন ইস্যুতে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলা নিয়েও নতুন ফতোয়া আনবে বিসিসিআই (Bcci) সূত্রে এমনই খবর। ওই সভাতেই ক্রিকেটারদের জন্য নতুন গ্রেড পে চালু করতে চলেছে বোর্ড। বার্ষিক চুক্তিতে আর একটা গ্রেড চালু করার পথে বিসিসিআই (Bcci)। ‘সি’ ক্যাটাগরি চালু করতে পারে বোর্ড। যেখানে ‘এ+’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত ক্রিকেটাররা পাবেন সর্বোচ্চ ৭ কোটি টাকা (বার্ষিক)।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পরে ঋদ্ধি জানান, “নিউজিল্যান্ডে ঋষভ ব্রেক নেওয়ার জন্য খেলেছিলাম, ঘাড় ব্যথা নিয়ে ৬১ করেছিলাম। ম্যাচে আমরা জেতার জায়গায় চলে এসেছিলাম। তারপরই ‘দাদি’ বলেছিল ‘যতদিন আমি আছি তোকে ভাবতে হবে না’, সেটা শোনার পর মেন্টালি বুস্ট হয়েছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে পুরোটাই উল্টো হল, একটা সিরিজে কি এমন হয়ে গেল, আমার কি বয়স বেড়ে গেল। রাহুল দ্রাবিড়ও আমার সঙ্গে কথা বলেছিল।দ্রাবিড় বলেছিল আমরা তোমার বয়সের কারণে আর নিতে পারছি না। তরুণ প্রজন্মকে ভাবছি। তুমি অবসরের কথা ভাবতে পারো।‘’ এরপরে এক সাংবাদিক ঋদ্ধিকে মেসেজ করে ইন্টারভিউ নেওয়ার কথা বলেন। ঋদ্ধি রাজি না হলে সেই সাংবাদিক একপ্রকার হুমকি দিয়ে লেখেন, “আপনি আমার একটি সাক্ষাৎকার দেবেন। এটা ভালো হবে। তারা (নির্বাচকরা)একজন উইকেট কিপার বেছে নিয়েছে। কে সর্বোত্তম, আপনি ১১ জন সাংবাদিক নির্বাচন করার চেষ্টা করেছেন, যা আমার মতে ঠিক নয়। সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে এমন একজনকে বেছে নিন। আপনি কল করেননি। আমি আর কখনো তোমার সাক্ষাৎকার নেব না এবং মনে রাখব।” ওই সাংবাদিকের মেসেজের স্ক্রিনশট পোস্ট করে ঋদ্ধি উল্লেখ করেছেন ওই ব্যক্তি একজন বড় সাংবাদিক। ক্যাপশনে লিখেছেন, “ভারতীয় ক্রিকেটে আমার সব অবদানের পরেও একজন তথাকথিত “সম্মানিত” সাংবাদিকের কাছ থেকে আমি এটাই দেখছি! সাংবাদিকতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।”