ক্রীড়া

কলকাতায় ফিরেই নিজের কোচিং ক্যাম্পে ঋদ্ধি

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস দেখছেন কি! যিনি তিন মাস আগে সিএবি তে নিজের এসি ঘরে বসে বলেছিলেন যে, ঋদ্ধিমান সাহার, বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। হাতে ব্যথা পায়ে ব্যথা বলে খেলতে চায় না। সেই ঋদ্ধিমান সাহা কলকাতায় ফিরেই নিজের কালীঘাট কোচিং ক্যাম্পে ভবিষ্যতের ঋদ্ধিদের তৈরী করতে ব্যস্ত। জেটলেগ নিয়েই খুদে খেলোয়াড়দের অনুশীলন করালেন প্রায় দুই ঘন্টা। এরপরে বাড়ি চলে গেলেন। আগামী কদিন কালীঘাট ক্যাম্পেই করবেন অনুশীলন।
প্রসঙ্গত সিএবির যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এছাড়াও সিএবির অন্দর মহলে ঋদ্ধিকে নিয়ে নানান নোংরা রাজনীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। ঋদ্ধির একটাই দাবি ছিল, দেবব্রতকে ক্ষমা চায়তে হবে। সেটা না হওয়ায় বাংলা দলের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্তে অটল ঋদ্ধিমান।নিজের সিদ্ধান্তে তিনি যে বাংলা দলের হয়ে খেলবেন না এটাই ঋদ্ধিমান সাহার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বাংলা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া যদিও জানান ,“আমরা চেয়েছিলাম ঋদ্ধিমান বাংলার হয়ে রঞ্জি নকআউটে খেলুক। সেই কথা ঋদ্ধিকে বলেওছিলাম। তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু ঋদ্ধিমান জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি খেলবেন না।” অরূণ লাল জানান,”ওর এই সিদ্ধান্তটা মানতে পারছি না। খারাপ লাগছে।”বেঙ্গালুরুতে রঞ্জি ট্রফির নক আউট পর্ব শুরু ৬ জুন। বাংলা দল শুক্রবারই বেঙ্গালুরু যাচ্ছে। তার আগে বেঙ্গালুরুতে দু’টি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে বাংলা।
ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে জানিয়েছিলেন,ভারতীয় দলে তাঁকে আর প্রয়োজন নেই। ঋদ্ধি সাংবাদমাধ্যমের কাছে এমনও দাবি করেছিলেন,বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি তাঁকে বলেছিলেন,তিনি যতদিন বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততদিন ঋদ্ধিমান খেলবেন। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর সিএবি সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলি প্রতিবাদ করে বলেছিলেন,”ঋদ্ধির সঙ্গে মহারাজের ব্যক্তিগত ফোনালাপ প্রকাশ্যে এনে ঋদ্ধি ঠিক কাজ করেনি।” রাহুল দ্রাবিড়ের ওই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পর সিএবি কর্তারা বাংলার ঋদ্ধিমানকে সহানুভূতি জানায়নি। বরং বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাদ পড়ার পরে আইপিএলে ভালো খেলেও ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় নির্বাচকরা তাকে দলে নেননি।