ক্রীড়া

ত্রিপুরায় গিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ ঋদ্ধি-সুদীপ

স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ

চলতি মরসুমের শুরুতে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় পারি দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তবে ত্রিপুরা দলের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ফলস্বরুপ গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছিল ত্রিপুরাকে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ফের ঋদ্ধি ব্যর্থ হলেও রজত দেকে সঙ্গী করে ম্যাচ জেতালেন সুদীপ। ৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ত্রিপুরা।

এলিট-বি গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে উত্তরপ্রদেশকে ব্যাট করতে পাঠান ত্রিপুরা অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান তোলে উত্তরপ্রদেশ। ১২ বলে ১৪ রান করেন রিঙ্কু সিং। আকাশদীপ নাথ দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৭ রান করেন। এছাড়া করণ শর্মা ১২, আরিয়ান জুয়েল ১৪, প্রিয়ম গর্গ ৩১, সমীর চৌধরী ১৭, দিব্যাংশ যোশি ১৯ ও শিবা সিং ৫ রান করেন। ত্রিপুরার হয়ে পারভেজ সুলতান ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মনিশঙ্কর মুরাসিং, অভিজিৎ সরকার ও শঙ্কর পাল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরা ১৯.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬৬ রান তুলে নেয়। বাংলার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৪৪ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন অপরদিকে রজত দে ২১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ঋদ্ধি ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৩২ বলে ৩৮ রান করেন বিক্রম কুমার দাস। শুভম ঘোষ ১০ ও শ্রীদাম পাল ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

উত্তরপ্রদেশের হয়ে ২টি উইকেট পান করণ শর্মা। ১টি করে উইকেট শিকার করেন শিবা সিং ও শিবম শর্মা।ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর সিএবি-র যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দেবব্রতর ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করার দাবি জানান ঋদ্ধি। কিন্তু দেবব্রত কোনওভাবেই দুঃখপ্রকাশ করতে রাজি হননি।

অবাক হওয়ার মতো ঘটনা যে সিএবি-র শীর্ষস্থানীয় কর্তারা এই ব্যাপারে নীরব ছিলেন। মাঠ ও মাঠের বাইরে ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। কিন্তু কোন কারণে সিএবি কর্তারা নীরব থাকেন, সেটা বলা কঠিন। সিএবি-র পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তাতে কি আন্তরিকতা ছিল? সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।

ঋদ্ধিমান সম্পর্কে এরকম মন্তব্য করার পর দেবব্রত ভারতীয় দলের ম্যানেজার পদ পেয়েছেন। অন্যদিকে বাংলার তরুণ ক্রিকেটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত দলে সুযোগ না পেয়ে ত্রিপুরাতে যান। সুদীপ বলেছিলেন, ” ত্রিপুরার হয়ে সব রকম ফর্ম্যাটে অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো। ঋদ্ধিদার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। কিছু তো ঘটেছে অবশ্যই। তা না হলে আর রাজ্য ছাড়ব কেন? কিছু জিনিস বেশ খারাপ।
একটা অভিমান তো রয়েছে। দলে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না।”

নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।