রাজ্য

এসএসসি মামলার নিষ্পত্তিতে অর্পিতার গোপন জবানবন্দী ঘিরে জল্পনা

এনএফবি, কলকাতাঃ

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকদিন ধরে হাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই মামলার নিষ্পত্তি করতে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন তিনি। এমনই মনে করা হচ্ছে ৷ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন অর্পিতা বলেও শোনা যাচ্ছে । যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে প্রবল। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছিল নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তবে অর্পিতা প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছেন যে এই টাকা কোনভাবেই তাঁর নয়। এই আবহে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে এই টাকা কোথা থেকে এল? বিভিন্ন সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিভিন্ন উত্তরে জল্পনা আরও বেড়েছে।

ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জেলে গিয়ে অর্পিতাকে তদন্তকারীরা যখন টাকা রাখার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, সেই সময় একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেন অর্পিতা। এই আবহে তদন্তকারীরা অর্পিতার থেকে জানতে চান যে তিনি এই সব বয়ান বিচারকের সামনে বলবেন কি না। এই প্রশ্নের জবাবে নাকি অর্পিতা জানিয়ে দেন তিনি গোপন জবানবন্দি দিতে প্রস্তুত।

জানা গিয়েছে, অর্পিতা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া সোনা এবং অর্থ কোনটাই তার উপার্জনের নয়। এই সবই তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দিয়েছেন। তাছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লোকই তাঁর অবর্তমানে তাঁর ফ্ল্যাটে এসে টাকা রাখত বলে ফের দাবি করেছেন অর্পিতা।

এদিকে ঘনিষ্ঠতা সূত্রে পার্থর থেকে বেশ কিছু অর্থ লেনদেনের কথা কানে গিয়েছে অর্পিতার। কোন জেলা থেকে কত টাকা আসত, কে তা পাঠাত, এর একটি তালিকা তৈরি করতে চাইছে ইডি। আর তাতে অর্পিতার বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে জেরার মুখে অনেক রাঘব বোয়ালের নাম অর্পিতা বলেছেন ইডিকে। পার্থর থেকে টাকা প্রভাবশালীদের কাছে যেত বলেও দাবি করেন অর্পিতা। এদিকে অর্পিতার জবানবন্দিকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য অভিযুক্তদের জালে ভরতে চাইছে ইডি। এই আবহে অর্পিতার সাজা কিছু লাঘব হতে পারে। তবে অর্পিতা নিজেই যেহেতু এই মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত, সেই আবহে তাঁর এই বয়ান গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন ইডি কর্তারা। পাশাপাশি অর্পিতার জবানবন্দির পক্ষে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে হবে তদন্তকারীদের।

তবে জানা যাচ্ছে, অর্পিতার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে ইডি। অর্পিতার জবানবন্দিতে মামলার উপর কী প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই আবহে লিগাল সেলের সম্মতি পেলে ১৬৪ ধারায় বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দিতে বলা হতে পারে অর্পিতাকে। আর তা হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর আরও চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।