এনএফবি মুর্শিদাবাদঃ
আজ ফারাক্কা ব্যারাজ থেকে সাড়ে বারো লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্ষার মরসুমে এটি স্বাভাবিক পরিমাণ, যেখানে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৭ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার অনুমোদন রয়েছে। তবে আগামীকাল সন্ধ্যায় জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যে অবগত করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ বহরমপুর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্য সচিবের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, সুতি-১, রানীনগর, লালগোলা প্রভৃতি নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা হয়। মাইকিং করে এলাকার মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নেপালের কোশী নদী থেকে ৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল জেলাশাসক এবং জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, “বিপর্যয় মোকাবেলায় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর দিন-রাত কাজ করছে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন যে, শস্য বিমার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে, যাতে কৃষকরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পান। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে ত্রাণ পরিষেবার কার্যক্রমে কোনো খামতি না হয়, সেই বিষয়ে কড়া নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, “মা-মাটি-মানুষের সরকার আপনাদের সেবায় সর্বদা পাশে রয়েছে।”
মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষী মিত্র বৈঠক শেষে জানান, “প্রশাসন পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”