জেলাফিচার

ভোটের পরে উধাও অর্থনীতিবিদ বিধায়ক, ক্ষোভ স্থানীয়দের

এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করার পর প্রায় এক বছর হতে চলল, কিন্তু বালুরঘাটে সেভাবে দেখা মেলে না বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে অশোকবাবু জয়ী হয়েছেন। ভোট প্রচারে এলাকার উন্নয়ন, মানুষের পাশে থেকে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা শুনে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোকবাবুর উপর ভরসা করেছিলেন বালুরঘাটের বাসিন্দারা। কিন্তু জেতার পর একমাস যেতে না যেতেই বিধায়ককে আর সেভাবে এলাকায় দেখা যায়নি। মাঝেমধ্যে বালুরঘাটে এসে এক-দুই রাত কাটিয়ে চলে যান তিনি।

বিমান দাস(তৃণমূল নেতা) ৷ নিজস্ব চিত্র

জানা গেছে,পুরসভা নির্বাচনের সময় হাতেগোনা কয়েক দিন এসে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করে আবার চলে গিয়েছেন। বিজেপি শিবিরের প্রার্থী হওয়ার পর বালুরঘাটে পা রেখে বলেছিলেন, তিনি জানেন না মানুষ তাঁকে গ্রহণ করবেন কি না। যদি গ্রহণ করেন, তাহলে বছরে কিছু সপ্তাহ এখানে থাকবেন তিনি। মানুষ প্রত্যাখান করলেও তিনি আসবেন। এনিয়ে সেসময় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে তিনি তাঁর কথা রেখে এক বছরে কয়েক সপ্তাহ বালুরঘাটে থেকেছেন। এনিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। বিরোধীরাও বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে।

স্বরূপ চৌধুরী(বিজেপির জেলা সভাপতি) ৷ নিজস্ব চিত্র


এ নিয়ে বিধায়ক অশোক লাহিড়ীকে ফোন করা হলে তিনি আগামী মাসে আসবেন বলে জানিয়েছেন। বিধায়ক এলাকায় না থাকায় সাধারণ মানুষকে সার্টিফিকেট নিতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। স্টেট বাসস্ট্যান্ডে বিধায়কের একটি অফিস রয়েছে। যদিও সেটি নিয়মিত খোলা হয় না বলে অভিযোগ। অনেকে জানেনই না কোথায় সেই অফিস রয়েছে। ফলে জেলা কার্যালয়ে গিয়ে সই, শংসাপত্রের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় বাসিন্দাদের। অভিযোগ, ভোটের আগে এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে অশোকবাবু মানুষের উন্নয়নের কথা বিধানসভায় তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সমস্যায় পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে জেতার পর এলাকার মানুষের সমস্যা মেটানো তো দূরে থাক, এখন তাঁকে বালুরঘাটেই দেখা যায় না। কোথায় গেলে তাঁর দেখা মিলবে, দলের নেতারাও তা ঠিক করে বলতে পারেন না। ফলে বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করাই কঠিন হয়ে উঠেছে বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের। মাঝেমধ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে অশোকবাবু অর্থনীতি নিয়ে নানা বক্তব্য রাখলেও বালুরঘাট বিধানসভা এলাকার সমস্যা ও উন্নয়ন নিয়ে সেভাবে তাঁকে কখনও সরব হতে দেখা যায়নি।

এনিয়ে বালুরঘাটের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

অপূর্ব মন্ডল( স্থানীয় বাসিন্দা) ৷ নিজস্ব চিত্র