ক্রীড়া

তিন প্রধান ছাড়াই জমকালো ভাবে শুরু কন্যাশ্রী কাপ

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

কলকাতা লিগে পুরুষদের টুর্নামেন্টের পর এবার মহিলাদের ফুটবল কন্যাশ্রী কাপও তিন প্রধান ছাড়াই শুরু হয়ে গেল। নিজেদের ক্লাব দল অংশ না নিলেও সোমবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রী কাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসেন তিন প্রধান ক্লাবের তিন কর্তা। ছিলেন মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত,ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার ও মহামেডান শীর্ষকর্তা কামারউদ্দিন। তিন প্রধানের কর্তারা জানান,এই বছর নানা সমস্যার জন্য তাদের ক্লাব অংশ নিতে পারেনি। তবে সামনের বছর কন্যাশ্রী কাপে তিন প্রধান অংশ নেবে।

এদিন, জয় দিয়ে এবারের কন্যাশ্রী কাপ অভিযান শুরু করল গত দুই বারের চ্যাম্পিয়ন এসএসবি উইমেন্স এফসি। রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রী কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে চাঁদনি স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬-০ গোলে হারাল এসএসবি। রঞ্জিতা দেবী দুটি ও দুলের মান্ডি,মুনেশ কুমারী,পূর্ণিমা লিন্ডা,অনিতা রানী একটি করে গোল করেছেন।
কন্যাশ্রী কাপের উদ্বোধন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহ বেশ কিছু প্রাক্তন ফুটবলাররাও।
অতীতে মহিলাদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার নাম ছিল উইমেন্স ফুটবল লিগ। কিন্তু দুই বছর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুপ্রেরণায় এই লিগের নামকরণ করা হয়েছে কন্যাাশ্রী কাপ, যা করেন ifa কর্তারা।

প্রসঙ্গত আইএফএ-এর প্রাক্তন সচিব প্রয়াত প্রদূত দত্ত যখন মহিলা ফুটবলারদের নিয়ে ফুটবল লিগ শুরু করেন তখন দলবদলের সময় সেই সময়ের কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাপয়কে দিয়েই প্রতীকী সই করানো হয়েছিল।
এবার কন্যাশ্রী কাপে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সংঘ ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি ছাড়াও মতুয়াদের একটি দলও অংশ নিচ্ছে। ময়দানের ফুটবল প্রশাসক দেবু মুখার্জির তালতলা দীপ্তি ক্লাব অধিগ্রহণ করায় নাম বদল (শ্রীভূমি) হয়েছে। কিন্তু দেবু মুখার্জির কন্যা সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় আগের মতোই উদ্যোগী হয়ে এবারও দীপ্তি সংঘ নামে কন্যাশ্রী কাপে অংশ নিচ্ছে।
কন্যাশ্রী কাপের সব ম্যাচ পরিচালনা করবে মহিলা রেফারি। কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন দল ৫০ হাজার ও রানার্স দল ২৫ হাজার টাকা পাবে। এছাড়াও প্রত্যেক ম্যাাচে থাকছে ম্যান অফ দ্যম ম্যাচের আর্থিক পুরস্কার।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানান,”বাঙালি মানেই ফুটবল।আর আমার ভালো লাগছে বাংলার মহিলাদের ফুটবলে এগিয়ে আসতে প্রেরণা দিচ্ছে আইএফএ।”

আরও পড়ুনঃ ঋদ্ধি ইস্যুতে মুখ খুলল সিএবি