রাজ্য

রাজকীয় মেজাজে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল রাজা

এনএফবি,আলিপুরদুয়ারঃ

রাজকীয় মেজাজেই চলে গেল রাজা। বন্দি দশায় পৃথিবীর সব চেয়ে বৃদ্ধ রয়্যালবেঙ্গল টাইগার। ২০০৭ সাল থেকে তার ঠাঁই হয়েছিল জলদাপাড়া বনবিভাগের দক্ষিণ খয়েরবাড়ির রয়্যালবেঙ্গল টাইগার পুনর্বাসন কেন্দ্রে। তার আগে সুন্দরবনের মাতলা নদী পেরোতে গিয়ে রাজার পেছনের বাম পা খুবলে নিয়েছিল কুমির। ওই পা হারানো বাঘকে আর বন্য পরিবেশে ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি বনদপ্তর। রবিবার রাত দু’টোয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রাজা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৬ বছর ১০ মাস ১৮ দিন। ২৩ অগস্ট রাজার ২৭ তম জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি শুরু করেছিল বনদপ্তর। ফলে আজ থেকে বাঘ শূন্য হয়ে আরও জৌলুশ হারালো দক্ষিণ খয়েরবাড়ি।

দীপক এম, ডিএফও জলদাপাড়া

এগারো বছর বয়সে রাজাকে সুন্দরবন থেকে দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের তৎকালীন বন্যপ্রাণী চিকিৎসক প্রলয় মন্ডল ও বাঘমামা নামে পরিচিত বনকর্মী পার্থসারথী সিনহার আপ্রাণ চেষ্টায় ও যত্ন আত্তিতে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছিল রাজা। তারপর থেকে তারই আকর্ষণে দেশ বিদেশের পর্যটকরা বারবার ছুটে আসতেন দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে। আজ থেকে সেই অধ্যায়ে যবনিকা পড়লো। রাজার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পার্থসারথী সিনহা বলেন “সন্তান শোক অনুভব করছি। আজ আর কথা বলতে পারছি না।” সোমবার রাজাকে শেষ বিদায় জানাতে দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে হাজির হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা ও জলদাপাড়া বনবিভাগের ডি এফ ও দীপক এম। ফুল মালায়, চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হয় রাজাকে । ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহটি পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বনদপ্তরের পক্ষে।