ক্রীড়া

গতবারের হারের বদলা নিয়ে সিএসকে বধ নাইটদের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

গতবার ফাইনালে হারের শোধ নিয়ে এবারের আইপিএলে জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে জয়টা কিন্তু খুব একটা সহজভাবে পায়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে কম রানের লড়াইটাও বেশ হাড্ডাহাড্ডি হল। যদিও শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি ফোটে শ্রেয়স আইয়ারের মুখেই। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও ধোনির দুরন্ত পারফর্ম্যান্স মন জিতে নিয়েছে এদিন সকলের।

যদিও একা ধোনি নয়। এদিন ওয়াংখেড়ের সমস্ত সমর্থকদের নজর কেড়েছেন আরও এক মুম্বইকর অজিঙ্ক রাহানে। নাইট রাইডার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচেই দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি। কিন্তু একটাই আফসোস, মাত্র ৬ রানের জন্য অর্ধশতরানটা পেলেন না তিনি। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়া থেকে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে ওঠা নানান প্রশ্নের উত্তরের মঞ্চ এটাই। শুরুটা কিন্তু বেশ ভালভাবেই করলেন অজিঙ্ক রাহানেও। জবাব দেওয়ার কাজটাও বোধ হয় শুরু করে দিলেন তিনি। টস জিতে এদিন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নতুন চেন্নাই অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। শুরু থেকেই চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের চাপে রাখার কৌশল ছিল তাদের। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়াংখেড়েতে শিশিরের সমস্যা দেখা যায়, সেই সময় রান তাড়া করার পরিকল্পনাই ছিল নাইট রাইডার্সের প্রধান পরিকল্পনা। সেই মতো শুরু থেকে আরম্ভটাও করেছিল নাইট রাইডার্স। চেন্নাই সুপার কিংসের তাবড় তাবড় ব্যাটারদের এদিন ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতই দেননি উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তীরা। ৬১ রানের মধ্যেই এদিন চেন্নাই সুপার কিংসের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিল কলকাতার বোলাররা। আর তাতেই কার্যত চাপে পড়ে গিয়েছিল চেন্নাই। শুরুতেই উমেশ যাদবের ধাক্কায় সাজঘরে ফিরে যান ডেভন কনওয়ে এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। রান আউট হন রায়ডু। উথাপ্পাকে থামান বরুণ চক্রবর্তী।

এই জায়গা থেকেই রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে দলের হাল ধরেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। জাদেজার ব্যাট থেকে অবশ্য এদিন তেমন রানের ঝলক দেখা যায়নি। তবে ছন্দে ছিলেন ধোনি। শেষের দিকে তাঁর হাত ধরেই একশো রানের গন্ডী টপকাতে পারে চেন্নাই সুপার কিংস। ধোনির ৩৮ বলে ৫০ রানে ভর করে চেন্নাই পৌঁছায় ১৩১ রানে।

রানের লক্ষ্য কম। কিন্তু উইকেটের পিছনে ধোনির থাকাটাই ছিল সবচেয়ে বড় চিন্তা। নাইট রাইডার্সের প্রথম ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। এদিন প্রথম থেকেই দুর্ধর্ষ মেজাজে ছিলেন তিনি। নিজেকে প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টায় ছিলেন এই তারকা ব্যাটার। তাঁর সৌজন্যেই এদিন নাইট রাইডার্সের জয়ের রাস্তাটাও তৈরি হয়েছিল।

৩৪ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে এদিন ভারতের জয়ের ভিতটা মজবুত করে দেন রাহানেই। তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন তখন নাইট রাইডার্সের রান ৩ উইকেটে ৮৭। তবে নাইটরা কিন্তু জয়টা খুব একট সহজে পায়নি। ম্যাচ চলে ১৮ ওভার পর্যন্ত। অবশেষে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতার নাইটরা।