রাজ্য

কেন্দ্রের দেওয়া পদ্মশ্রী শেষ বয়সে সন্ধ্যাদিকে ধাক্কা দিয়েছেঃ মমতা

এনএফবি, কোচবিহারঃ

অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাণেশ্বরের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় চিলা রায়ের ৫১২ তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। প্রথমেই চিলা রায়কে সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী।পরে তিনি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ।

জানা গেছে, কেন্দ্রের তরফে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ঘোষণা হয় শিল্পীর নাম। তারপরেই স্বরাষ্ট্রদফতরের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ফোন করলে তিনি জানিয়ে দেন এই সম্মান তিনি নেবেন না। তাঁর পরিবারের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয় এই বয়সে এসে পদ্মশ্রী দেওয়া মানে অসম্মান, তাই তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। যার পাল্টা হিসেবে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৭ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সময় পদ্মশ্রী নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ।বুধবার কোচবিহার থেকেও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।

আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে পুলিশ লাইনের উদ্বোধন ,দল বিরোধী কার্য কলাপের অভিযোগে ২২ জনকে বহিষ্কার তৃণমূলের

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “পদ্মশ্রী এখন হতশ্রীতে পরিণত হয়েছে। পদ্মশ্রী সম্মানকে শ্রদ্ধা করি তার একটা মাহাত্ম্য রয়েছে। কিন্তু কাকে কোনটা দিতে হয় সেই বোধ নেই কেন্দ্রের সরকারের। সন্ধ্যাদি আমার কাছের মানুষ বড় আপন। উনি ভারতরত্ন পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু এই বয়সে এসে পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে ওনাকে। আরও কত বড় বড় সম্মান ছিল তা দেওয়া হল না। শেষ বয়সে সেটাই ধাক্কা দিয়েছে সন্ধ্যাদিকে। এটা করা ঠিক হয়নি। সন্ধ্যাদির জন্যই কোচবিহারের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করে এখনই কলকাতা ফিরে যাব। ওনাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ও গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জানাব।”