ক্রীড়াফিচার

বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবসের তাৎপর্য

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

আচ্ছা খেলাধুলা মানুষকে কী দেয়! এই প্রশ্নের একটাই উত্তর গোটা বিশ্বে বর্তমান হানাহানি হিংসাকে সাময়িক দমিয়ে রাখে বা সব ভুলে নতুন কিছু ভাবতে শেখায়। ভারত পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খান একটা ক্রিকেট ম্যাচেই সমস্যার সমাধান করলে হয় তাহলে এতো হিংসা তো আর হবে না। যে ব্যক্তি খেলা নাও বোঝে তার কাছে নিজের দেশের বড়ো ক্রীড়া মঞ্চে সাফল্য তাকে অনেকটা আনন্দ দেয়। আর যারা খেলাধুলোর খবর মুহূর্তে আমাদের কাছে পৌঁছে দেন আজ তাঁদের দিন অর্থাৎ বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস ২ জুলাই। সারাবিশ্বের কোটি কোটি মানুষ আনন্দের রসদ খুঁজে পান। ক্রীড়া সাংবাদিকদের কাজের জন্য মানুষ ঘরে বসেই বিশ্বের নানান প্রান্তের খেলাধুলা সম্পর্কিত খবর খুব সহজেই পেয়ে যায় । প্রতিবছর ক্রীড়া সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা এবং তাঁদের কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে ২ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস।

একজন ক্রীড়া সাংবাদিকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা । ১৯২৪ সালে ২ জুলাই থেকে এটা পালন করা হচ্ছে । বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৬৭টি দেশ এই দিবস পালন করে। ২ জুলাইয়ের সঙ্গে আরেকটি বিশেষ ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। এই দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা ( International Sports Press Association )। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৬৭ দেশ। এই বিশেষ দিনকেই স্মরণ রেখে প্রতি বছর জুলাই মাসের ২ তারিখে পালন করা হয় বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিবস।

প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রধান অঙ্গ হল ক্রীড়া সাংবাদিকতা। এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে ক্রীড়া সাংবাদিকদের তাঁদের কর্মক্ষেত্রে আরও উৎসাহিত করা হয় । বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ ক্রীড়া সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি এটি একটি সম্মানজনক পেশা। যেখানে যে কোনো ক্রীড়া বিদের ড্রয়িং রুমে সহজে যাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোথায় খেলা হচ্ছে , সেই খেলাধুলা সংক্রান্ত নানান ব্যক্তিদের মতামত , খেলাধুলার যে আলাদা একটি জগত আছে সেই সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছে দেন ক্রীড়া সাংবাদিকরা। এছাড়াও খেলাধুলা সম্পর্কিত খুঁটিনাটি তথ্য সাংবাদিকতার মাধ্যমে পৌঁছে যায় ক্রীড়া প্রেমিকদের মধ্যে।
সেই কারণে এই দিনে কাম্য একটাই, খেলার মাঠই হোক পারফরমেন্সের মাধ্যমে যুদ্ধের আসল জায়গা। তাহলে ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস সার্থকতা লাভ করবে।