লেটেস্টস্থানীয়

পুরভোটের ময়দানে নবাব পুত্রেরা

মনোদীপ ব্যানার্জী, মুর্শিদাবাদঃ

দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে জমে উঠেছে মুর্শিদাবাদের পুরযুদ্ধ। মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন সৈয়দ ওয়াকার আব্বাস মির্জা। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন সৈয়দ ফাহিম আলী মির্জা। লড়াইয়ের ময়দানে দুজনে থাকলেও শেষ পর্যন্ত দাদা নাকি ভাই কে জয়ী হবেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

এর আগে পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সৈয়দ ফাহিম আলী মির্জার বাবা সৈয়দ রেজা আলী মির্জা। দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছোটে নবাব সৈয়দ রেজা আলী মির্জা। বাবার পরিচিতি বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে বলে দাবি করেন তৃণমূল পদপ্রার্থী ফাহিম মির্জা। আমাদের আদর্শের লড়াই পরিবারের নয়, বলছেন আব্বাস মির্জা।

আরও পড়ুনঃ নবাব নগরী তে জোর লড়াই তৃণমূলের, মানতে নারাজ বিরোধীরা

দক্ষিণ দুয়ারে প্রবেশ করে কেল্লা নিজামতে এক দ্বিতল বাড়িতে রয়েছেন সৈয়দ মুহাম্মদ আব্বাস আলী মির্জা (বড়ো নবাব) ও সৈয়দ রেজা আলী মির্জা (ছোটে নবাব)। নিজেদের পরিবারের ভিতরে নেই কোনো রকমের রাজনৈতিক দ্বৈরথ। দুই নবাব পুত্র দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলে। তবে নিজের পুত্রের হয়ে মৌখিক প্রচার সারছেন ছোটে নবাব। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন মুখি প্রকল্প গুলিকে জনমানসের কাছে তুলে ধরছেন তিনি। ভোটে যেই জিতুক সম্পর্ক অটুট থাকবে আমাদের- জানাচ্ছেন ছোটে নবাব, সৈয়দ রেজা আলী মির্জা। এই একই আসনে বিজেপির হয়ে লড়াই লড়ছেন নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ সাব্বির হোসেন। যিনি মুর্শিদাবাদ পুরসভার বিজেপির একমাত্র সংখ্যালঘু প্রার্থী। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবেন বলে আশাবাদী স্থানীয় বিজেপি নেতা সৌমেন মন্ডল।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ বিধানসভায় জয়ী হয়েছেন বিজেপির গৌরী শঙ্কর ঘোষ। সূত্রের খবর, পুরসভার ১৬ টি আসনের ১২ টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি, ৪টিতে তৃণমূল। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৮০ ভোটে তৃণমূল এগিয়েছিল পুরভোটে। এবারে সেই ওয়ার্ডেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নবাব পুত্রেরা। পুরভোটে জিতলে কী করবেন? উত্তরে কংগ্রেস প্রার্থীর বক্তব্য, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া, শহরে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলা, শহর সাজাতে বৃক্ষ রোপন, স্বাস্থ্য – শিক্ষা ও ক্রীড়ার উন্নতি ঘটানোই তাঁদের মূল লক্ষ্য। মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি যে বাড়তি নজর কেড়েছে অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে, তা নবাবের শহরে কান পাতলেই শোনা যায়।