স্কুলের মধ্যেই শিক্ষককে মারধোর, পাল্টা অভিযোগ প্রধান শিক্ষক-সভাপতির
এনএফবি, মুর্শিদাবাদঃ
ক্লাস বন্ধ করে রাজ্য সম্মেলনের আয়োজন করছিলেন প্রধান শিক্ষক। প্রতিবাদ করায় স্কুলেরই এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বহরমপুরের গুরুদাস তারাসুন্দরী ইনস্টিটিউটের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিযোগকারী শিক্ষকের নাম মুক্তিপদ কোনাই। তিনি ওই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। তাঁর অভিযোগ, আগামীকাল ও পরশু স্কুলে প্রধান শিক্ষকদের রাজ্য সম্মেলন হবে। তাঁর দাবি, আজ সেই কারণেই স্কুলের পঠন পাঠন চতুর্থ পিরিয়ডের পর বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক। তখনই প্রতিবাদ করেন তিনি। অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পরেই প্রায় আটজন যুবক আচমকা তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে। ওই যুবকেরা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার অনুগামী পরিচয় দিয়ে তাঁকে মারধর করতে থাকে বলে দাবি করেন আক্রান্ত শিক্ষক। তিনি আরও দাবি করেন যে, দরজা বন্ধ করে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। পরে অন্য শিক্ষকদের সাহায্যে তিনি মুক্তি পান। তিনি ঘাড়ে ও পিঠে চোট পেয়েছেন বলেও জানান। এই বিষয়ে তিনি বহরমপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানান তিনি।

তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পাল্টা দাবি, মারধরের ঘটনা ভিত্তিহীন। ওই শিক্ষক প্রথম থেকেই উস্কানিমূলক মন্তব্য করছিলেন। বারবার সেটা বারণ করা হয়েছে। তবে মারধরের ঘটনা সঠিক নয়। আমরা মুক্তিপদ কোনাই এর বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ করেছি।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তৃণমূল নেতা তথা গুরুদাস তারাসুন্দরী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুণ্ডু মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা স্কুল শিক্ষক মুক্তিপদ কোনাইয়ের বিরুদ্ধেই একরাশ অভিযোগ করেন।
বিপ্লব বাবুর দাবি, মুক্তিপদ কোনাই স্কুলের সার্ভিস রুল মেনে চলেন না। এর আগে ওনাকে দুবার শোকজ করা হয়েছিল। আজ সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করছেন উনি।
নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।