ক্রীড়া

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ হাতছাড়া টাইগারদের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

সিরিজে আগেই হারতে হয়েছিল। তবে মর্যাদারক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডে তে জয় পেল আফগানিস্তান। এরফলে আফগানরা আইসিসি সুপার লিগে দশ পয়েন্ট তুলে নিল।

অন্যদিকে টাইগাররা দশ পয়েন্ট হারালো। চট্টগ্রামে এদিন তৃতীয় ওয়ানডে তে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে ব্যাট করে ৪৫.১ ওভারে ১৯২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ইনিংস। ১১ রান করে আউট হন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। গত দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফজল ফারুকীর বলে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
তামিমের পর সাকিব আল হাসান বিদায় নেন ৩০ রান করে মহম্মদ নবির বলে ক্যাচ দিয়ে। মুশফিকুর রহিমকে ৭ রানে ফেরান রশিদ খান। ইয়াসির আলী রাব্বির এই ম্যাচেও ছিলেন ব্যর্থ। ১ রান করে রশিদের বলে ক্যাচ দেন গুলবাদিন নাইবের হাতে।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ওপেনার লিটন দাস একা লড়াই করলেন। গত ম্যাচে শতরান করেন। এই ম্যাচে অল্পের জন্য শতরান হারালেন মুজিব উর রহমানের বল স্লগ সুইফ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ৮৬ (১১৩)।
লিটন আউট হতে পদ্মাপাড়ের দেশের ইনিংসে ধস নামে। আফিফ হোসেন ৫, মেহেদী মিরাজ ৬, তাসকিন আহমেদ ০, শরিফুল ইসলাম ৭ রানে ফেরেন সাজঘরে। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থেকে যান ২৯ রানে।
আফগানদের হয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ খান। ২ উইকেট নেন মহম্মদ নবি। ১টি করে উইকেট নেন ফজল হক, আজমতউল্লাহ ওমরযাই।

কমরানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে অনায়াসে জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রিয়াজ হাসানের ৭৯ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। রিয়াজ ৩৫ রানে শাকিবের বলে আউট হন। ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে শট নিতে গেলে স্টাম্পিং হন এই ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটে আফগানদের একশো রানের পার্টনারশিপই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে বের করে দেয়। রহমত শাহ ৪৭ আউট হন। ৪০.১ ওভারে আফগানরা জেতার জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।
তখন ১৭৯ রান হয়ে গিয়েছিল। ওপেনার গুরবাজও অর্ধশতরান করেন। সবচেয়ে ভালোভাবে এই ম্যাচেই ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশ বধ হল আফগানিস্তানের। হোয়াইটওয়াশ না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ টাইগাররা। দশ পয়েন্ট হাতছাড়া হল তাঁদের।