ফিচাররাজ্য

ভাইরাল বিধায়কের হুমকি ভিডিও, অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির

এনএফবি ডেস্ক, আসানসোলঃ

উপনির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তৃণমূল বিধায়কের হুমকি ভিডিও। প্রতিবাদে সরব পদ্মশিবির। কড়া ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলছেন, “যাঁরা কট্টর বিজেপি, যাঁদের টলানো যাবে না, তাঁদের চমকাতে হবে। বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে বলবেন আপনি যদি ভোট দিতে যান, তাহলে আমারা ধরে নেব বিজেপিকে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন সেটা আপনার রিস্ক।“ নিউজ ফ্রন্ট বাংলা এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে উপনির্বাচনের আগে বিধায়কের এই হুমকি ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়েছে।

আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনের জন্য বিধায়ককে সেন্সর করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ততদিন পর্যন্ত কোনও সভা, মিছিল, সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না নরেন্দ্রনাথ।
অবশ্য যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই বিধায়কের অবশ্য দাবি ওই বক্তব্য বেশ কিছুদিন আগের এবং পুরো দায় ঠেলেছেন পশ্চিম বর্ধমানের পূ্র্বতন তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্রনাথ তিওয়ারির দিকে।

আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, “আসলে বিধায়ক বুঝেছেন বিজেপির লোকরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তৃণমূল হারবে। এই রকম হুমকি উনি না দিলেই ভাল হয়। আসলে এই নেতা অনুব্রত মণ্ডলের শিষ্য। অনুব্রত মণ্ডল হয়তো কিছুদিন পরে জেলে থাকবেন। এই পরিস্থিতি থাকলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে লুডো খেলার জন্য আরও দু’তিনজন লাগবে। তখন হয়তো ওঁকে যেতে হবে।“
নরেন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আসন্ন আসানসোল লোকসভা উপর্নিবাচনের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, “বিধায়ক উস্কাচ্ছেন। কার্যত হিংসায় মদত দিচ্ছেন। প্রয়োজনে মারের বদলে মার হবে। ছেড়ে কথা বলব না।“ বিধায়কের মন্তব্যে বেকায়দায় জোড়া-ফুল শিবির। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেছেন, “সত্যি যদি এমন ভাষা বলে থাকেন, সেটা উচিত নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। উচ্চ নেতৃত্ব বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।“ তার মধ্যেই এবার কড়া ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন।