স্থানীয়

কেন সংসারের হাল ধরতে পারবো না- জিজ্ঞাসা বীথির

এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

বাড়িতে অসুস্থ বাবা। মায়ের শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়। দুই বোন, এক ভাই ও পিতা মাতা সহ পাঁচ জনের সংসারের হাল ধরতে শীতের রাতে ভাপা পিঠা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বীথি কর্মকার। কথায় বলে কোন কাজই ছোট নয়, এই কথাকে মাথায় রেখে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে হার না মানা এই কন্যা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সরাইহাট এলাকায় বাড়ি বীথি কর্মকারের। সদ্য গ্রাজুয়েট বীথি কর্মকার জানায়, দিনভর একটি নার্সিং সেন্টার দেখভালের কাজ করে সে এরপর বিকেল থেকে বুনিয়াদপুর পীরতলা মোড় এলাকায় ভাপা পিঠা বিক্রি করে। আহামরি আয় না হলেও দৈনিক ৫০০ – ৫৫০ টাকার পিঠা বিক্রি হয়। তার কথায়, “পাঁচ জনের অভাবের সংসারের হাল কাউকে না কাউকে তো ধরতেই হত। মেয়ে বলে কেন সংসারের হাল ধরতে পারবো না।” জানা গিয়েছে শীতকাল বাদে বছরের অন্যান্য সময় জাল বুনেই নিজস্ব উদ্যোগে সংসারের পাঁচজনের অন্নসংস্থান করে সে।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী অরিন্দম সিংহ রানা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জয় জোহার মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বীথি কর্মকারের ভাপা পিঠা বিক্রির একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেন। রাতারাতি রাজ্যজুড়ে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। জীবন সংগ্রামে হার না মানা দক্ষিণ দিনাজপুরের কন্যা বীথি কর্মকারকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন নেটিজেনেরাও।